নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন: তথ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দল নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে হাছান বলেন, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারিতে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে বাংলাদেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। তিনদিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল, সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।
তিনি বলেন, মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, অন্যান্য দেশ এবং বিভিন্ন জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষক যারা এসেছিলেন তারা সবাই এ নির্বাচনকে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং নির্বাচনের সময় নানাবিধ গণ্ডগোলের মাত্রা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তারা তাদের বিবৃতিতে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাথে অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার কথা বলেছে। জাপান থেকে শুরু করে প্রায় ৩১টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের কথা বলেছিল এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। তাদের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। জনগণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদের প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।