ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কালিকাপুর রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– আছমত আলীর ছেলে রফিজ, আব্দুল মালেকের স্ত্রী লুৎফা, তৈয়ব আলীর ছেলে সাজু, আলী আশরাফের স্ত্রী সফরজান ও মনিরের স্ত্রী শানু। তাঁরা সবাই বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

বাধ্য হয়েই তালা ভাঙতে হয়েছে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে কার্যালয়ের তালা ভাঙার পর রিজভী বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস বলপূর্বক আমাদের কার্যালয় বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের কাছে বারবার চাবি চাওয়া স্বত্তেও তারা আমাদের চাবি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তালা ভাঙতে হয়েছে আমাদের।’

রিজভী বলেন, আমাদের যুব দলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।

রিজভী আরো বলেন, দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।

গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর থেকে তালাবদ্ধ থাকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এত দিন পর্যন্ত সেখানে দলের নেতা-কর্মীরা যাননি। কার্যালয়ের সামনে সার্বক্ষণিক পাহারায় থেকেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাধ্য হয়েই তালা ভাঙতে হয়েছে: রিজভী

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

বেলা পৌনে ১১টার দিকে কার্যালয়ের তালা ভাঙার পর রিজভী বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস বলপূর্বক আমাদের কার্যালয় বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের কাছে বারবার চাবি চাওয়া স্বত্তেও তারা আমাদের চাবি দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তালা ভাঙতে হয়েছে আমাদের।’

রিজভী বলেন, আমাদের যুব দলের একজন নেতা ও একজন প্রবীণ সাংবাদিক হত্যার মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ নিপীড়নের তাণ্ডব শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ পণ্ড করে পুলিশ এক নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল। এই দুই মাসের অধিক সময় পুলিশ কাউকে এখানে ঢুকতে দেয়নি এবং আশপাশে ভিড়লেও তাদের আটক করে নিয়ে গেছে।

রিজভী আরো বলেন, দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক কার্যকর রাজনৈতিক দল বিএনপি। এই দল বার বার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে। সেই দলের প্রধান কার্যালয় একটি মাফিয়াতন্ত্র, একটি মাফিয়া সরকার বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং পুলিশ চাবি না দেওয়াতে তালা ভেঙে আমরা ঢুকেছি।

গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর থেকে তালাবদ্ধ থাকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এত দিন পর্যন্ত সেখানে দলের নেতা-কর্মীরা যাননি। কার্যালয়ের সামনে সার্বক্ষণিক পাহারায় থেকেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।