১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে হামলা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বোকামি: হুতি

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা।

এদিকে, শুক্রবার হুতি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি হুমকি দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ‘শিগগিরই বুঝতে পারবে যে ইয়েমেনে হামলা ‘তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বোকামি’।

ইয়েমেনে হুতিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি বলেছেন, এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে। ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই ‘নির্লজ্জ আগ্রাসনের’ জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। খবর- বিবিসি

হুতি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ জানিয়েছে, ইয়েমেনজুড়ে হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী সানা, হুদায়দাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। হুতিদের লোহিত সাগর বন্দরের শক্ত ঘাঁটি হুদায়দাতে হামলা করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বর্তমানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যার সমর্থক ও বিপক্ষ অবস্থানকারীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে মন্তব্য করে আল-বুখাইতি বলেন, ‘এর একটি পক্ষের লক্ষ্য হলো ইয়েমেনের প্রতিনিধিত্ব করা এবং গাজায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধ করা, অন্যদিকে অন্য পক্ষের লক্ষ্য হলো আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্বকারী অপরাধীদের সমর্থন করা এবং রক্ষা করা’।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোয়ালিশন জোট। একটি যৌথ বিবৃতিতে এই জোট দাবি করছে ইয়েমেনে হামলা ছিল আত্মরক্ষার জন্য। বিবৃতিতে হুতিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘বিস্তৃত ঐকমত্য’ উদ্ধৃত করা হয়েছে।

হুথির এক কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজধানী সানায় ‘শত্রুদের হামলা’ চলছে। সানার এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি তিনটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। তবে হুথিদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়— তাদের এ হামলার পাল্টা হামলার জবাব দেবে তারা।

এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধের দাবিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে অনেকে। ‘হ্যান্ডস অফ ইয়েমেন’ তথা ইয়েমেন থেকে হাত উঠানোর আহ্বানের পোস্টার নিয়ে তারা হাজির হন একদল বিক্ষোভকারী। এদিন রাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

ইয়েমেনে হামলা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় বোকামি: হুতি

আপডেট : ০৭:০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা।

এদিকে, শুক্রবার হুতি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি হুমকি দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ‘শিগগিরই বুঝতে পারবে যে ইয়েমেনে হামলা ‘তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বোকামি’।

ইয়েমেনে হুতিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি বলেছেন, এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে। ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই ‘নির্লজ্জ আগ্রাসনের’ জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। খবর- বিবিসি

হুতি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ জানিয়েছে, ইয়েমেনজুড়ে হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী সানা, হুদায়দাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। হুতিদের লোহিত সাগর বন্দরের শক্ত ঘাঁটি হুদায়দাতে হামলা করা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, বর্তমানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যার সমর্থক ও বিপক্ষ অবস্থানকারীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে মন্তব্য করে আল-বুখাইতি বলেন, ‘এর একটি পক্ষের লক্ষ্য হলো ইয়েমেনের প্রতিনিধিত্ব করা এবং গাজায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধ করা, অন্যদিকে অন্য পক্ষের লক্ষ্য হলো আমেরিকা ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্বকারী অপরাধীদের সমর্থন করা এবং রক্ষা করা’।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ইয়েমেনে হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কোয়ালিশন জোট। একটি যৌথ বিবৃতিতে এই জোট দাবি করছে ইয়েমেনে হামলা ছিল আত্মরক্ষার জন্য। বিবৃতিতে হুতিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘বিস্তৃত ঐকমত্য’ উদ্ধৃত করা হয়েছে।

হুথির এক কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজধানী সানায় ‘শত্রুদের হামলা’ চলছে। সানার এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি তিনটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। তবে হুথিদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়— তাদের এ হামলার পাল্টা হামলার জবাব দেবে তারা।

এদিকে ইয়েমেনে হামলা বন্ধের দাবিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে অনেকে। ‘হ্যান্ডস অফ ইয়েমেন’ তথা ইয়েমেন থেকে হাত উঠানোর আহ্বানের পোস্টার নিয়ে তারা হাজির হন একদল বিক্ষোভকারী। এদিন রাতে নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারেও যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।