কাল গোপালগঞ্জ যাবে নতুন মন্ত্রিসভা
- আপডেট সময় : ০৮:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
আগামীকাল ২ দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সঙ্গী হবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সফরে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোপালগঞ্জবাসী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে ৮ বারের এমপি নির্বাচিত হন। বরাবরের মতো এবারও সরকার গঠনের পর গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার দুই দিনের সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাবেন তিনি। সফরে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও সাথে থাকার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে সড়ক পথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া সফরে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আগমন উপলক্ষে নেয়া হয়েছে সকল প্রস্তুতি। জেলা শহরের প্রতিটি সড়কের দু’পাশ ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অংগসংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বিজয়ের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে উৎসাহের সাথে অপেক্ষায় গোপালগঞ্জের আপামর জনতা।
মন্ত্রীরা হলেন :
আ ক ম মোজাম্মেল হক—মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ওবায়দুল কাদের—সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন—শিল্প মন্ত্রণালয়
আসাদুজ্জামান খান—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ডা. দীপু মনি—সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
মো. তাজুল ইসলাম—স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
মুহাম্মদ ফারুক খান—বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
আবুল হাসান মাহমুদ আলী—অর্থ মন্ত্রণালয়
আনিসুল হক—আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়
মো. হাছান মাহমুদ—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মো. আব্দুস শহীদ—কৃষি মন্ত্রণালয়
সাধন চন্দ্র মজুমদার—খাদ্য মন্ত্রণালয়
র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
মো. আব্দুর রহমান—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল—শিক্ষা মন্ত্রণালয়
ফরহাদ হোসেন—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মো. ফরিদুল হক খান—ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়
মো. জিল্লুল হাকিম—রেলপথ মন্ত্রণালয়
সাবের হোসেন চৌধুরী—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
জাহাঙ্গীর কবির নানক—বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
নাজমুল হাসান পাপন—যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
ডা. সামন্ত লাল সেন—স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ—ভূমি মন্ত্রণালয়
আব্দুস সালাম—পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
প্রতিমন্ত্রী হলেন:
প্রতিমন্ত্রীরা যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সেগুলো হলো—
বেগম সিমিন হোসেন (রিমি)—মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
নসরুল হামিদ—বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়
জুনাইদ আহমেদ পলক—ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
মোহাম্মদ আলী আরাফাত—তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
মো. মহিববুর রহমান—দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
জাহিদ ফারুক—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা—পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
রুমানা আলী—প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
শফিকুর রহমান চৌধুরী—প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
আহসানুল ইসলাম টিটু—বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী—নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়