জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। নেদারল্যান্ডসের হেগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শুনানিতে গণহত্যার অভিযোগের কথা বলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) শুনানির দ্বিতীয় দিনে ইসরায়েল তাদের পাল্টা বক্তব্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী আদিলা হাসিম গতকাল তার বক্তব্যে অবিলম্বে ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে বিচারকদের আহ্বান জানায়। পাশাপাশি আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮৪ পৃষ্ঠার নথিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে ২৩ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে শুনানির দ্বিতীয় দিনে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পক্ষে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি উপদেষ্টা তাল বেকার বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বেকার পাল্টা অভিযোগে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় যে গণহত্যার অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এটি শুধু ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার অংশবিশেষ। আর গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত করেছে হামাস।
মূলত, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার (আইসিজে) আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলা প্রত্যাখ্যান করতে বিদেশি কূটনৈতিকদের চিঠি পাঠিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই চিঠিতে মামলার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৯ হাজারের বেশি। নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। তা ছাড়া বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে গাজার ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।