ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বাড়তি দামের ছোঁয়া বাজার জুড়েই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কয়েকদিন গরুর মাংস কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও আবার সেই আগের বাড়তি দামে ফিরে এখন কেজি ৭৫০ টাকা। এছাড়া বাজারে সব ধরনের মাছের দাম যাচ্ছে বাড়তি। সব মিলিয়ে বাড়তি দামের ছোঁয়া পুরো বাজার জুড়েই।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজির দাম বেড়ে বর্তমানে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এটা কিছুদিন ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কক মুরগি (লালা) প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা কক সাদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা আর পাতি হাঁস আকার ভেদে প্রতি পিচ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। দুই মাস ধরেই মুরগির দাম বাড়ছে। এতে করে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি ডিমের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম পাইকারিতে ১২৫ টাকা ও খুচরায় ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাইকারিতে প্রতি হালি ডিম ৪২ টাকা ও খুচরায় ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মুরগির সাদা ডিম প্রতি ডজন পাইকারিতে ১২০ টাকা ও খুচরায় ১২৫ টাকা এবং প্রতি হালি পাইকারিতে ৪০ টাকা ও খুচরায় ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ২০০ টাকা ও খুচরায় ২১০ টাকায়। কোয়েলের ডিমের ডজন ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মো. রাশেদ বলেন, ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হাজারে ১০-২০ টাকা বাড়ে কমে। তবে এর প্রভাব খুচরা পর্যায়ে পড়ে না।

দাম বাড়বে বা কমবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হলে দাম অপরিবর্তিত থাকবে বা কমবে। আর যদি উৎপাদন কম হয় তাহলে দাম বাড়বে। তবে কাঁচামালের দাম আগে থেকে ধারণা করা যায় না। হুট করেই বেড়ে যায় বা কমে যায়।

এছাড়া গত কিছু দিন গরুর মাংসের দাম বিভিন্ন এলাকায় কমে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করলেও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ফের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। পাশাপাশি খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম বাড়তি বাজার চললেও অন্য সব ধরনের মাছের দাম আরও বেশি বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়, রুই মাছে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শোল মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের শোল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ (নতুন) ৯০ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে। নতুন আলু কেজিতে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০-৮০, ফুলকপি ৪০-৬০, বাঁধা কপি ৪০-৫০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৫০-৭০, কাঁচা টমেটো ৩০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০, ঢেঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, খিরাই ৪০-৫০, শসা ৬০, পেঁপে ৪০, ধনে পাতা ১০০-১৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০, জালি কুমড়া ৪০, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, লেবুর হালি ২০-৪০ টাকা এবং কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে , পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারের এমন বাড়তি চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক ক্রেতা মহাখালীর গার্মেন্টস কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজার করতে ১০০০ টাকা নিয়ে এলে কিছুই হয় না। মাছের যে দাম তাতে মাছ কিনতে পারি না, গরু খাসির মাংস তো কেনার প্রশ্নই আসে না। এক ব্রয়লার মুরগি কেনা যায় তাও আজ দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম এত বেশি যে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কেনা কঠিন হয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাড়তি দামের ছোঁয়া বাজার জুড়েই

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কয়েকদিন গরুর মাংস কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও আবার সেই আগের বাড়তি দামে ফিরে এখন কেজি ৭৫০ টাকা। এছাড়া বাজারে সব ধরনের মাছের দাম যাচ্ছে বাড়তি। সব মিলিয়ে বাড়তি দামের ছোঁয়া পুরো বাজার জুড়েই।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজির দাম বেড়ে বর্তমানে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এটা কিছুদিন ধরে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কক মুরগি (লালা) প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা কক সাদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা আর পাতি হাঁস আকার ভেদে প্রতি পিচ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। দুই মাস ধরেই মুরগির দাম বাড়ছে। এতে করে আমাদের বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি ডিমের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম পাইকারিতে ১২৫ টাকা ও খুচরায় ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাইকারিতে প্রতি হালি ডিম ৪২ টাকা ও খুচরায় ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মুরগির সাদা ডিম প্রতি ডজন পাইকারিতে ১২০ টাকা ও খুচরায় ১২৫ টাকা এবং প্রতি হালি পাইকারিতে ৪০ টাকা ও খুচরায় ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ২০০ টাকা ও খুচরায় ২১০ টাকায়। কোয়েলের ডিমের ডজন ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মো. রাশেদ বলেন, ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হাজারে ১০-২০ টাকা বাড়ে কমে। তবে এর প্রভাব খুচরা পর্যায়ে পড়ে না।

দাম বাড়বে বা কমবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হলে দাম অপরিবর্তিত থাকবে বা কমবে। আর যদি উৎপাদন কম হয় তাহলে দাম বাড়বে। তবে কাঁচামালের দাম আগে থেকে ধারণা করা যায় না। হুট করেই বেড়ে যায় বা কমে যায়।

এছাড়া গত কিছু দিন গরুর মাংসের দাম বিভিন্ন এলাকায় কমে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করলেও লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ফের প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। পাশাপাশি খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে। পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া মাছের দাম বাড়তি বাজার চললেও অন্য সব ধরনের মাছের দাম আরও বেশি বেড়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়, শিং মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকায়, রুই মাছে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, পাঙাশ প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শোল মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আর মাঝারি সাইজের শোল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজিতে। গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা গলদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেঙরা মাছ ছোট প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং রূপচাঁদা প্রতি কেজি আকার ভেদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে এসব বাজারে পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) ১২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ (নতুন) ৯০ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে। নতুন আলু কেজিতে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এই আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০-৮০, ফুলকপি ৪০-৬০, বাঁধা কপি ৪০-৫০, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৫০-৭০, কাঁচা টমেটো ৩০, কচুরমুখী ১০০ এবং গাজর ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০, ঢেঁড়স ১০০, পটল ৮০, বরবটি ১২০, ধুন্দুল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০, খিরাই ৪০-৫০, শসা ৬০, পেঁপে ৪০, ধনে পাতা ১০০-১৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০, জালি কুমড়া ৪০, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, লেবুর হালি ২০-৪০ টাকা এবং কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে , পেঁয়াজের ফুলকলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারের এমন বাড়তি চিত্র দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক ক্রেতা মহাখালীর গার্মেন্টস কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজার করতে ১০০০ টাকা নিয়ে এলে কিছুই হয় না। মাছের যে দাম তাতে মাছ কিনতে পারি না, গরু খাসির মাংস তো কেনার প্রশ্নই আসে না। এক ব্রয়লার মুরগি কেনা যায় তাও আজ দাম বেড়েছে। সবকিছুর দাম এত বেশি যে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জন্য কেনা কঠিন হয়ে গেছে।