০১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাপার কো-চেয়ারম্যানসহ দুই নেতাকে অব্যাহতি

জাতীয় পার্টির দুই কেন্দ্রীয় নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভ রায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টিতে ফের ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক ‘ভরাডুবির’ পর দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্বাচনে ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিলেও অভিযোগ উঠেছে প্রায় ২৩০ জন দলীয় প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না।

এ ভরাডুবির জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই দুষছেন নেতাকর্মীরা। যা ভাঙনের আশঙ্কাকে আরও তীব্রতর করছে। এই আশঙ্কার মধ্যেই জাতীয় পার্টির সিনিয়র এই দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে কি কারণে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগমুহুর্তে জাতীয় পার্টিতে দলীয় বিভাজন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আর চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রওশন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে জিএম কাদের ক্যু করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন।

দলে রওশনপন্থি বলে পরিচিত নেতাদের এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরশাদের নির্বাচনি আসন রংপুর–৩ থেকে নির্বাচন করেন জিএম কাদের। যদিও ধারনা করা হয়েছিল, এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এই আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন। প্রতিবাদে নির্বাচন বর্জন করেন রওশন ও তাঁর অনুসারিরা।

জাপার কো-চেয়ারম্যানসহ দুই নেতাকে অব্যাহতি

আপডেট : ০৫:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

জাতীয় পার্টির দুই কেন্দ্রীয় নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভরায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলের যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কাজী ফিরোজ রশিদ ও সুনীল শুভ রায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টিতে ফের ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে ব্যাপক ‘ভরাডুবির’ পর দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্বাচনে ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিলেও অভিযোগ উঠেছে প্রায় ২৩০ জন দলীয় প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না।

এ ভরাডুবির জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই দুষছেন নেতাকর্মীরা। যা ভাঙনের আশঙ্কাকে আরও তীব্রতর করছে। এই আশঙ্কার মধ্যেই জাতীয় পার্টির সিনিয়র এই দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হলো। তবে কি কারণে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগমুহুর্তে জাতীয় পার্টিতে দলীয় বিভাজন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আর চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রওশন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে জিএম কাদের ক্যু করে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন।

দলে রওশনপন্থি বলে পরিচিত নেতাদের এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এরশাদের নির্বাচনি আসন রংপুর–৩ থেকে নির্বাচন করেন জিএম কাদের। যদিও ধারনা করা হয়েছিল, এরশাদের ছেলে রাহগির আলমাহি সাদ এই আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন। প্রতিবাদে নির্বাচন বর্জন করেন রওশন ও তাঁর অনুসারিরা।