ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

“অনেক চক্রান্তের পরেও নির্বাচন সফল হয়েছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্রের পরেও নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে জনগণ। যারা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে নিজেদের হুকুমের দাস ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল, তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে দেশের জনগণ। বিএনপি আন্দোলনের নামে ২৮ অক্টোবর নাশকতা করে আরও বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলছিলেন আমরা নাকি ১০০ বছরে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কখনো বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবে না। আসলে আল্লাহ কাকে যে কখন কি করে, তা ঠিক করে রেখে দেয়। তার অভিশাপ আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে যায়, আর তার জন্য প্রযোজ্য হয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতা নেই, তাই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। নিজেরাই তালা দিয়ে আবার সেটা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার নাটক করেছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো আছে। এই খুনিরা, চক্রান্তকারীরা, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার করেছি; তাদের একটা চক্রান্ত আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা চক্রান্ত আছে। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দেশটার প্রতি অনেকেরই নজর আছে। কাজেই এখানে বসে কেউ অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এখান থেকে কোনো দেশে আক্রমণ করবে, সেটা তো আমি মেনে নেব না। সময় নষ্ট না করে উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সব চক্রান্ত উপেক্ষা করে উন্নত দেশ গড়ার প্রত্যয়ও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবেই চলবো। আমাদের দেশ ছোট কিন্তু জনসংখ্যা আছে। জনগণই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি যখন নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিলাম, যাতে যে কেউ দাঁড়াতে পারে। উদ্দেশ্য ছিল যাতে ভোট বেশি আসে। আর প্রতিযোগিতা হয়। কারণ বিএনপি ইলেকশন করবে না, ওরা যে করবে না সেটা আমরা জানি। ওরা করবে ওদের নেতা কোথায়? যারা নির্বাচন করে তাদের সামনে একজন থাকে প্রধান হয়ে, যে দেশ চালাবে। ওদের কারো তো সে যোগ্যতা নেই। একজন তো দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি আর এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজনতো গ্রেনেড হামলা মামলা, অস্ত্র চোরাকারবারী, মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত। এটা কিন্তু আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই খুঁজে বের করেছে। তারা সাক্ষী দিয়ে গেছে। তাদের সাক্ষীতেই তার সাজাও হয়েছে। তবে এদের লজ্জা নাই।

হাসপাতালে কি কেউ আক্রমণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওটা ইসরায়েলেরা করছে প্যালেস্টাইনে। আর তারেক জিয়ার হুকুমে বিএনপি-জামায়াত করছে আমাদের দেশের মানুষের ওপর। হাসপাতাল আর অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করে তারা দেখালো যে; তারা ওদের প্রেতাত্মা, ওদেরই লোক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে এই উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখা। জিনিসের দাম যেটা বেড়ে গেছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা। আমি গ্রামেগঞ্জে খুব অসুবিধা দেখি না। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট আয়ের মধ্যে চলে তাদের একটু সমস্যা। ঢাকার শহরে একটু বেশি। সেখানে জীবনযাত্রার ব্যয় সবসময় একটু বেশি। বাজারে কিন্তু জিনিসের অভাব নাই। খাদ্যের কোন ঘাটতি নাই। কিন্তু মনে হয় যে কেউ জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে হয়রানি করে। সেটাও আমাদের যথাযথভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে। আর আমাদের উৎপাদনটা বাড়াতে হবে।

এর আগে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় রওনা হন সরকারপ্রধান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।

নিউজটি শেয়ার করুন

“অনেক চক্রান্তের পরেও নির্বাচন সফল হয়েছে”

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ষড়যন্ত্রের পরেও নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে জনগণ। যারা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে নিজেদের হুকুমের দাস ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল, তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে দেশের জনগণ। বিএনপি আন্দোলনের নামে ২৮ অক্টোবর নাশকতা করে আরও বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বলছিলেন আমরা নাকি ১০০ বছরে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা কখনো বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবে না। আসলে আল্লাহ কাকে যে কখন কি করে, তা ঠিক করে রেখে দেয়। তার অভিশাপ আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে যায়, আর তার জন্য প্রযোজ্য হয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতা নেই, তাই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। নিজেরাই তালা দিয়ে আবার সেটা ভেঙে কার্যালয়ে ঢোকার নাটক করেছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো আছে। এই খুনিরা, চক্রান্তকারীরা, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার করেছি; তাদের একটা চক্রান্ত আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা চক্রান্ত আছে। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দেশটার প্রতি অনেকেরই নজর আছে। কাজেই এখানে বসে কেউ অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এখান থেকে কোনো দেশে আক্রমণ করবে, সেটা তো আমি মেনে নেব না। সময় নষ্ট না করে উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সব চক্রান্ত উপেক্ষা করে উন্নত দেশ গড়ার প্রত্যয়ও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবেই চলবো। আমাদের দেশ ছোট কিন্তু জনসংখ্যা আছে। জনগণই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি যখন নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিলাম, যাতে যে কেউ দাঁড়াতে পারে। উদ্দেশ্য ছিল যাতে ভোট বেশি আসে। আর প্রতিযোগিতা হয়। কারণ বিএনপি ইলেকশন করবে না, ওরা যে করবে না সেটা আমরা জানি। ওরা করবে ওদের নেতা কোথায়? যারা নির্বাচন করে তাদের সামনে একজন থাকে প্রধান হয়ে, যে দেশ চালাবে। ওদের কারো তো সে যোগ্যতা নেই। একজন তো দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি আর এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজনতো গ্রেনেড হামলা মামলা, অস্ত্র চোরাকারবারী, মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত। এটা কিন্তু আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই খুঁজে বের করেছে। তারা সাক্ষী দিয়ে গেছে। তাদের সাক্ষীতেই তার সাজাও হয়েছে। তবে এদের লজ্জা নাই।

হাসপাতালে কি কেউ আক্রমণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওটা ইসরায়েলেরা করছে প্যালেস্টাইনে। আর তারেক জিয়ার হুকুমে বিএনপি-জামায়াত করছে আমাদের দেশের মানুষের ওপর। হাসপাতাল আর অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করে তারা দেখালো যে; তারা ওদের প্রেতাত্মা, ওদেরই লোক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে এই উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখা। জিনিসের দাম যেটা বেড়ে গেছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা। আমি গ্রামেগঞ্জে খুব অসুবিধা দেখি না। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট আয়ের মধ্যে চলে তাদের একটু সমস্যা। ঢাকার শহরে একটু বেশি। সেখানে জীবনযাত্রার ব্যয় সবসময় একটু বেশি। বাজারে কিন্তু জিনিসের অভাব নাই। খাদ্যের কোন ঘাটতি নাই। কিন্তু মনে হয় যে কেউ জিনিসের দাম বাড়িয়ে মানুষকে হয়রানি করে। সেটাও আমাদের যথাযথভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে। আর আমাদের উৎপাদনটা বাড়াতে হবে।

এর আগে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় রওনা হন সরকারপ্রধান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সরকার গঠনের পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।