ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশের পূর্বাভাস দিল বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডলার সংকটে আমদানি হ্রাস, কাঁচামাল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, চড়া মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কিছু কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়, আসছে বছর এই হার বাড়তে পারে কিছুটা। আর করোনার পর ২০২৪-এ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে সবচেয়ে কম।

দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য কতটা ভালো তা মাপার অন্যতম প্রধান সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি। গেলো দেড় দশকে এই হার গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ হলেও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে করোনার পর থেকেই। সবশেষ অর্থবছরে যা ৬-এর ওপরে থাকলেও বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে তা নামতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। যদিও গেলো জুনে এই পূর্বাভাস ছিল সোয়া ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে অবশ্য একই সময় শেষে সরকার তা ঠিক করে রেখেছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

বিশিষ্ট এক অর্থনীতিবিদ বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খারাপ নয়। বর্তমানে দেশের অসংখ্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আছে। সেসব আমলে নিলে এটা মন্দ নয়।

বিশ্বব্যাংক বলছে, অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন আর বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের সংকটে জোর করে কমানো হয়েছে আমদানি। যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ও রপ্তানিতে। এমনকি এ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগও কম দেখছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য মূল্যস্ফীতির চড়া হার, আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং রাজস্বের দুর্বলতাও কম প্রবৃদ্ধি হওয়ার পেছনে বড় কারণ বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সামনে আনা হয় সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের অনিশ্চয়তাকেও।

প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২৪ শেষে বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধিও কমতে পারে কিছুটা। এমনকি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রেও। তবে আশার খবর হলো সংকটের মধ্যেও শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে ওপরের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবৃদ্ধি ৫.৬ শতাংশের পূর্বাভাস দিল বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময় : ১০:৩০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

ডলার সংকটে আমদানি হ্রাস, কাঁচামাল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, চড়া মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কিছু কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়, আসছে বছর এই হার বাড়তে পারে কিছুটা। আর করোনার পর ২০২৪-এ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে সবচেয়ে কম।

দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য কতটা ভালো তা মাপার অন্যতম প্রধান সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধি। গেলো দেড় দশকে এই হার গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ হলেও সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে করোনার পর থেকেই। সবশেষ অর্থবছরে যা ৬-এর ওপরে থাকলেও বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে তা নামতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। যদিও গেলো জুনে এই পূর্বাভাস ছিল সোয়া ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে অবশ্য একই সময় শেষে সরকার তা ঠিক করে রেখেছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

বিশিষ্ট এক অর্থনীতিবিদ বলেন, এই পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি খারাপ নয়। বর্তমানে দেশের অসংখ্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আছে। সেসব আমলে নিলে এটা মন্দ নয়।

বিশ্বব্যাংক বলছে, অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন আর বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের সংকটে জোর করে কমানো হয়েছে আমদানি। যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ও রপ্তানিতে। এমনকি এ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগও কম দেখছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য মূল্যস্ফীতির চড়া হার, আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং রাজস্বের দুর্বলতাও কম প্রবৃদ্ধি হওয়ার পেছনে বড় কারণ বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সামনে আনা হয় সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনের অনিশ্চয়তাকেও।

প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২৪ শেষে বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধিও কমতে পারে কিছুটা। এমনকি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রেও। তবে আশার খবর হলো সংকটের মধ্যেও শীর্ষ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে ওপরের দিকেই থাকবে বাংলাদেশ।