স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১১:১৭:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যোগ দিয়ে নতুন গঠিত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে।’ আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব। এটা করতে পারলে ঢাকা শহরের হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আর চিকিৎসা নিতে হবে না। আমি প্রত্যেকটা হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করব। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পর সমাধানে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেব।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আমি নতুন কোনো লোক নই। প্রধানমন্ত্রী গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন। তার নির্দেশনা আমি যেকোনো মূল্যে পালন করবো। শিগগিরই আমি দেশের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করতে বের হবো। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে কাজ করবো।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছেই অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না। আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্ধারিতভাবে কাজ করতে পারব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম-গঞ্জে এখন ডাক্তার থাকে না এটা একটা সমস্যা, আমি জানি। এর প্রধান কারণ কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে, আমি চেষ্টা করবো। আমার শুধু একপক্ষের কথা শুনলে হবে না, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমাকে ডাক্তারের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হবে। সব দেখে তারপর আমি ব্যবস্থা নেবো।
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউ এর ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়াসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।