ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কালিকাপুর রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– আছমত আলীর ছেলে রফিজ, আব্দুল মালেকের স্ত্রী লুৎফা, তৈয়ব আলীর ছেলে সাজু, আলী আশরাফের স্ত্রী সফরজান ও মনিরের স্ত্রী শানু। তাঁরা সবাই বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

১৫ মার্চের মধ্যে সৈন্য সরাতে মালদ্বীপের আল্টিমেটাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সৈন্য সরাতে ভারতকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুইজ্জু। এ অবস্থায় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি।

মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরানোর বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে মোহাম্মেদ মুইজ্জু সরকার। এই বিষয়ে ভারতও সম্মতি জানিয়েছিল বলে জানা যায়।

মালদ্বীপ সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এই কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে আর্জি জানানো হয়েছে। মুইজ্জুর সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লা নাজিম ইব্রাহিম সে দেশের একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে থাকতে পারবেন না। কারণ, এটাই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং তার সরকারের সিদ্ধান্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমরা ফেরত পাঠাব।’ এ ক্ষেত্রে মুইজ্জু নাম না-করলেও স্পষ্টভাবেই ভারতকে নিশানা করেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সেনা। তবে চলতি বিতর্কের আবহে মালদ্বীপের এই সময় বেঁধে দিয়ে সেনা সরাতে বলার ‘আর্জি’কে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সাম্প্রতিক লক্ষদ্বীপ সফরের পরেই ভারত এবং মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীসহ বেশকিছু রাজনীতিবিদ। বিতর্ক এবং ঘরে-বাইরে চাপের মধ্যে তিন মন্ত্রীকেই বরখাস্ত করেন মুইজ্জু। তারপরও অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হয়নি।

মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এমনিতেই ‘চীনপন্থী’ বলে পরিচিত মুইজ্জু গত সপ্তাহেই পাঁচদিনের জন্য চীন সফরে যান। সফরের তৃতীয় দিনে গত বুধবার চীন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে রাজধানী বেইজিংয়ে বৈঠক করেন মুইজ্জু। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে মালদ্বীপের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই বৈঠকেই বেইজিংকে তাদের ‘পুরনো বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠতম সহযোগী’ বলেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। চীন থেকে দেশে ফিরেই শনিবার মুইজ্জু হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি তার সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৫ মার্চের মধ্যে সৈন্য সরাতে মালদ্বীপের আল্টিমেটাম

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

সৈন্য সরাতে ভারতকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুইজ্জু। এ অবস্থায় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি।

মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরানোর বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে মোহাম্মেদ মুইজ্জু সরকার। এই বিষয়ে ভারতও সম্মতি জানিয়েছিল বলে জানা যায়।

মালদ্বীপ সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি এই কমিটির দ্বাদশ বৈঠকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা সরানোর জন্য ভারতকে আর্জি জানানো হয়েছে। মুইজ্জুর সচিবালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা আবদুল্লা নাজিম ইব্রাহিম সে দেশের একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে থাকতে পারবেন না। কারণ, এটাই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবং তার সরকারের সিদ্ধান্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে মুইজ্জু বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমরা ফেরত পাঠাব।’ এ ক্ষেত্রে মুইজ্জু নাম না-করলেও স্পষ্টভাবেই ভারতকে নিশানা করেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ভারতীয় সেনা। তবে চলতি বিতর্কের আবহে মালদ্বীপের এই সময় বেঁধে দিয়ে সেনা সরাতে বলার ‘আর্জি’কে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সাম্প্রতিক লক্ষদ্বীপ সফরের পরেই ভারত এবং মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীসহ বেশকিছু রাজনীতিবিদ। বিতর্ক এবং ঘরে-বাইরে চাপের মধ্যে তিন মন্ত্রীকেই বরখাস্ত করেন মুইজ্জু। তারপরও অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হয়নি।

মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এমনিতেই ‘চীনপন্থী’ বলে পরিচিত মুইজ্জু গত সপ্তাহেই পাঁচদিনের জন্য চীন সফরে যান। সফরের তৃতীয় দিনে গত বুধবার চীন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে রাজধানী বেইজিংয়ে বৈঠক করেন মুইজ্জু। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে মালদ্বীপের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই বৈঠকেই বেইজিংকে তাদের ‘পুরনো বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠতম সহযোগী’ বলেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট। চীন থেকে দেশে ফিরেই শনিবার মুইজ্জু হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ধমকানোর ছাড়পত্র দেয়নি তার সরকার।