বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ সম্পদ হারিয়েছে
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
২০২০ সাল থেকে বিশ্বের পাঁচ শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার। ওইদিকে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ তাঁদের সম্পদ হারিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা সোমবার থেকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে অংশ নেবেন। এর আগেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল অক্সফাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধনী ও গরিবের মধ্যকার এ বিশাল পার্থক্য আরও বাড়তে পারে। আর এক দশকের মধ্যেই বিশ্ব প্রথম ট্রিলনিয়ার পাবে। পাশাপাশি চলতি ধারা অব্যাহত থাকতে ২২৯ বছরের মধ্যেও বিশ্ব থেকে দারিদ্রতা দূর করা যাবে না।
করোনার মধ্যে ধনী ও গরিবের বৈষম্য আরও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অক্সফাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের সম্পদ তিনগুণ দ্রুত বেড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে গবেষণা কোম্পানি ওয়েলথ এক্স থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী-ইলন মাস্ক, বার্নার্ড আর্নল্ট, জেফ বেজোস, ল্যারি এলিসন এবং মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বেড়ে ৪৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ১১৪ শতাংশ। এদিকে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ বা ৪৭০ কোটি মানুষের সম্পদ শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী লোকেরা কম মজুরি ও চাকরির নিরাপত্তা না থাকা সত্ত্বেও কঠোর এবং দীর্ঘ সময় কাজ করছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের ৫২টি দেশের ৮০ কোটি মানুষের মজুরি হ্রাস পেয়েছে। এসময়ে এ মানুষগুলো দেড় ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ হারিয়েছে।
অক্সফাম বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের দেশ সাউথ আফ্রিকা।
অক্সফামের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেমা শিবজি বলেন, গরীব দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্য এখন প্রাক-মহামারি সময়ের চেয়ে আরও বেশি। তবুও অল্প সংখ্যক অতি-ধনী মানুষ ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনিয়ার হওয়ার দৌড়ে নেমেছে।