০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দুর্ভিক্ষের দেশ, ভিক্ষুকের দেশ মনে করে না। বাংলাদেশ এখন একটা উন্নয়নের রোল মডেল।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে যে অবস্থায় ছিল, বাংলাদেশ বললে মানুষ মনে করতো একটা দুর্ভিক্ষের দেশ, দুর্যোগের দেশ। এদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেক দেশ বলেছে যে, তোমরা তোমাদের নেতাকে হত্যা করেছ? তখন খুনি দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত। সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও গেলে বলত বাংলাদেশ তো হাত পাততে আসে। এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিটা পরিবর্তন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে এই অফিসে ঢুকতে দিত না, চারদিকে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল। কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

রমজানে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং খোলা বাজার বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে পারবে। জনগণ যাতে পণ্য কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমরা এটি অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ায়। তবে এটাও সত্য যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। এই বিশ্বাসকে সম্মান করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন সাধারণ গ্রামবাসী আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। অন্য কারো ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। দরিদ্র, কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা যায়, তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। চলমান উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ত্বরান্বিত করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যে ওয়াদা করে, তা পূরণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতে। সব মানুষের জন্য ঘর করে দিয়েছি। ৩৩ জেলা ভুমি হীন ও গৃহহীন মুক্ত করে দিয়েছি।’ অনেকে পরিকল্পনা করে দাম বাড়ায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার কাজ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের উন্নয়ন পরিকল্পনা তৃণমূল থেকে। আমরা বিবিয়ানায় গ্যাস ও তেল পেয়েছি। নিজেদের সম্পদ দিয়ে কিভাবে নিজেদের দেশ গড়বো সেটা চিন্তা করতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের বিশ্বাস আস্থা এই নির্বাচনে প্রতিয়মান হয়েছে। জনগণের এই আস্থার দাম দিতে হবে।’

সংগঠন পাশে না থাকলে কোন সাফল্য অর্জিত হয় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দুর্ভিক্ষের দেশ, ভিক্ষুকের দেশ মনে করে না। বাংলাদেশ এখন একটা উন্নয়নের রোল মডেল।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে যে অবস্থায় ছিল, বাংলাদেশ বললে মানুষ মনে করতো একটা দুর্ভিক্ষের দেশ, দুর্যোগের দেশ। এদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। জাতির পিতাকে হত্যার পর অনেক দেশ বলেছে যে, তোমরা তোমাদের নেতাকে হত্যা করেছ? তখন খুনি দেশ হিসেবে আমরা পরিচিত। সে সময় আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও গেলে বলত বাংলাদেশ তো হাত পাততে আসে। এখন অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিটা পরিবর্তন হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে এই অফিসে ঢুকতে দিত না, চারদিকে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়া ছিল। অনেক সময় নেতাকর্মীরা আটকা পড়ত, তখন আমি বাধ্য হয়ে জোর করে ঢুকতাম এবং নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতাম। ২০০১ এ নির্বাচনের পর আমাদের অফিসটা হয়ে গিয়েছিল হাসপাতাল। কারণ, বিভিন্ন জেলা থেকে আহত নেতাকর্মীরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাওয়ার ব্যবস্থা আমরা এখানে করেছিলাম।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। স্বাধীনতাকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে।

রমজানে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং খোলা বাজার বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে পারবে। জনগণ যাতে পণ্য কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমরা এটি অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ায়। তবে এটাও সত্য যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। এই বিশ্বাসকে সম্মান করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন সাধারণ গ্রামবাসী আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। অন্য কারো ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। দরিদ্র, কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা যায়, তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। চলমান উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ত্বরান্বিত করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যে ওয়াদা করে, তা পূরণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কল্যাণ আওয়ামী লীগের হাতে। সব মানুষের জন্য ঘর করে দিয়েছি। ৩৩ জেলা ভুমি হীন ও গৃহহীন মুক্ত করে দিয়েছি।’ অনেকে পরিকল্পনা করে দাম বাড়ায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার কাজ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের উন্নয়ন পরিকল্পনা তৃণমূল থেকে। আমরা বিবিয়ানায় গ্যাস ও তেল পেয়েছি। নিজেদের সম্পদ দিয়ে কিভাবে নিজেদের দেশ গড়বো সেটা চিন্তা করতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের বিশ্বাস আস্থা এই নির্বাচনে প্রতিয়মান হয়েছে। জনগণের এই আস্থার দাম দিতে হবে।’

সংগঠন পাশে না থাকলে কোন সাফল্য অর্জিত হয় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।