ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ছাড়াল ২৪ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরাইলি হামলায় গাজা ভূখন্ডে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আরও প্রায় ৬১ হাজার ফিলিস্তিনি হামলায় আহত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ১৩২ ফিলিস্তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এদিকে গাজায় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে মানবিক সংকট। খাদ্যঘাটতি ও রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ।

ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে দেখা দিয়েছে পানির সংকট। কোনো রকম সেখানে আশ্রয় মিললেও, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পানির তীব্র সংকটে বাড়ছে ভোগান্তি। এ পরিস্থিতিতে আশ্রয় শিবিরগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে রোগ-বালাই।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬০ হাজার ৮৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর ১২টি গণহত্যা চালিযেছে, যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২ জন নিহত এবং আরও ২৫২ জন আহত হয়েছে।’

গাজায় হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের কুর্দিস্থানে একটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। স্থাপনাটি ইসারায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে দাবি সশস্ত্র এই বাহিনীর।

অন্যদিকে গাজা ইস্যুতে ইয়েমেনের এডেন উপসাগরে আমেরিকার মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার পর লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে সতর্ক করেছে আমেরিকা।

জাতিসংঘের মতে, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর ইসরাইলের হামলায় ভূখন্ডটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গত রোববার বলেছেন, ‘গাজার লোকেরা নরকে বাস করছেন’ এবং সেখানে ‘কোনও স্থানই নিরাপদ নয়।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা। আর ইসরাইলি লাগাতার এই আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ছাড়াল ২৪ হাজার

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

ইসরাইলি হামলায় গাজা ভূখন্ডে নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া আরও প্রায় ৬১ হাজার ফিলিস্তিনি হামলায় আহত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ১৩২ ফিলিস্তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

এদিকে গাজায় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে মানবিক সংকট। খাদ্যঘাটতি ও রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে জাতিসংঘ।

ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে দেখা দিয়েছে পানির সংকট। কোনো রকম সেখানে আশ্রয় মিললেও, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পানির তীব্র সংকটে বাড়ছে ভোগান্তি। এ পরিস্থিতিতে আশ্রয় শিবিরগুলোতে ক্রমেই বাড়ছে রোগ-বালাই।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬০ হাজার ৮৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর ১২টি গণহত্যা চালিযেছে, যার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২ জন নিহত এবং আরও ২৫২ জন আহত হয়েছে।’

গাজায় হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের কুর্দিস্থানে একটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড। স্থাপনাটি ইসারায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে দাবি সশস্ত্র এই বাহিনীর।

অন্যদিকে গাজা ইস্যুতে ইয়েমেনের এডেন উপসাগরে আমেরিকার মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার পর লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে সতর্ক করেছে আমেরিকা।

জাতিসংঘের মতে, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যেই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর ইসরাইলের হামলায় ভূখন্ডটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গত রোববার বলেছেন, ‘গাজার লোকেরা নরকে বাস করছেন’ এবং সেখানে ‘কোনও স্থানই নিরাপদ নয়।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সাথে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজায় হামলা আরও তীব্র করে দখলদার সেনারা। আর ইসরাইলি লাগাতার এই আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।