গাজীপুর থেকে উত্তরা হয়ে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প চলতি বছরের জুনে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
এসময় ওবায়দুল কাদের জানান, এ বছরের জুনের মধ্যে বিআরটি প্রকল্প শেষ হবে। এখন নিচের অংশের আর ভোগান্তি নেই।
এদিকে বিআরটি সূত্র জানায়, ২০ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্পেনর মধ্যে রয়েছে- এয়ারপোর্ট উড়াল সেতু, জসীমউদ্দিন উড়াল সেতু, হাউজবিল্ডিং থেকে স্টেশন পর্যন্ত নির্মিত উড়াল সেতু, টঙ্গীতে উড়াল সেতু অংশে নির্মাণাধীন স্টেশন, সমতলে নির্মাণাধীন স্টেশন (তারাগাছ স্টেশন), বিআরটি করিডোরের নির্বাচিত সড়কের অংশ, গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা স্টেশন ও উড়াল সেতু, বিআরটি ডিপো (নলজানি, গাজীপুর)।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বেসরকারিভাবে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়, সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। ঢাকার বাইরে বেপরোয়া ইজি বাইকের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা বেশি হয়। ইজিবাইক ও মোটরবাইক দুর্ঘটনায় জন্য বেশি দায়ী। এসব নিয়ে নীতিমালা হচ্ছে।
এদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, বৈষয়িক মন্দার মধ্যেও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে ও ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের টাকার সংস্থান আছে। এই দুটি প্রকল্পকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের পুরো পথ চলতি বছরেই শেষ হবে।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে উড়াল সড়ক করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, একাধিক সেতু আগামী পাঁচ বছরে শেষ করার পরিকল্পনা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি টাকা টোল আদায় হচ্ছে। পদ্মাসেতু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২৫২ কোটি টাকা আয় হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার টোল আদায় হয়েছে। এসব দেশের অর্থনীতিতে শক্তি যোগাচ্ছে।