০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ী কমলো দুই কোটি

বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, ২০০০ সালে তিনজনের মধ্যে একজন তামাক ব্যবহার করতেন। আর বর্তমান প্রজন্মে পাঁচজনের মধ্যে একজন তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি কমেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্বসংস্থাটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উঠে আসে। বিশ্বব্যাপী ১২৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী রয়েছেন। এদের বয়স ১৫ বছরের বেশি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে বিভিন্ন সিগারেট উৎপাদক কোম্পানির দৌরাত্ম্যের কারণে কমে যাওয়ার আশানুরূপ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডব্লিউএইচও জানায়, তামাক কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থের জন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিগুলো প্রভাবিত করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ী কমেছে।

এ ঘটনার উদাহরণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ফেব্রুয়ারিতে পানামায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে বিশ্বের বড় বড় তামাক কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিভিন্ন দেশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের প্রধান রুডিগার ক্রেচ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু আত্মতুষ্টির সময় নেই।

ডব্লিউএইওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ১৫ বছর ও এর বেশি বয়সী তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১২৫ কোটি। আর ২০০০ সালে এ সংখ্যা ১৩৬ কোটি। ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২০ কোটি নেমে আসতে পারে বলেও প্রতিবেনটিতে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটি আরও বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে। বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার কমলেও মিসর, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ায় ধূমপায়ী বাড়ছে।

তামাক নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিবেদনটি প্রতি দুবছর পর পর প্রকাশিত হয়। সংস্থাটি জানায়, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের কমপক্ষে ৩৬ কোটি ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ডব্লিউএইচও বলছে, কিছু তথ্য হারিয়ে যাওয়ার কারণে এই হিসাবটি যথাযথ নাও হতে পারে।

বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ী কমলো দুই কোটি

আপডেট : ০৫:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, ২০০০ সালে তিনজনের মধ্যে একজন তামাক ব্যবহার করতেন। আর বর্তমান প্রজন্মে পাঁচজনের মধ্যে একজন তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি কমেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্বসংস্থাটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য উঠে আসে। বিশ্বব্যাপী ১২৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী রয়েছেন। এদের বয়স ১৫ বছরের বেশি। তবে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে বিভিন্ন সিগারেট উৎপাদক কোম্পানির দৌরাত্ম্যের কারণে কমে যাওয়ার আশানুরূপ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না।

ডব্লিউএইচও জানায়, তামাক কোম্পানিগুলো নিজেদের স্বার্থের জন্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিগুলো প্রভাবিত করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ী কমেছে।

এ ঘটনার উদাহরণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ফেব্রুয়ারিতে পানামায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে বিশ্বের বড় বড় তামাক কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বিভিন্ন দেশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্য প্রচার বিভাগের প্রধান রুডিগার ক্রেচ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু আত্মতুষ্টির সময় নেই।

ডব্লিউএইওর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে ১৫ বছর ও এর বেশি বয়সী তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১২৫ কোটি। আর ২০০০ সালে এ সংখ্যা ১৩৬ কোটি। ২০৩০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২০ কোটি নেমে আসতে পারে বলেও প্রতিবেনটিতে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটি আরও বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে। বিশ্বব্যাপী তামাকের ব্যবহার কমলেও মিসর, জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ায় ধূমপায়ী বাড়ছে।

তামাক নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিবেদনটি প্রতি দুবছর পর পর প্রকাশিত হয়। সংস্থাটি জানায়, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের কমপক্ষে ৩৬ কোটি ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারী রয়েছে। তবে ডব্লিউএইচও বলছে, কিছু তথ্য হারিয়ে যাওয়ার কারণে এই হিসাবটি যথাযথ নাও হতে পারে।