০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি: প্রধানমন্ত্রী

পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনের বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়, দেশের মানুষের বিজয়।

সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি আলো ঝলমলে নির্বাচনে পথ হারায় বলে অন্ধকার গলি খোঁজে। এখনও নির্বাচন বাতিল করতে তারা লাফালাফি করছে। চক্রান্ত শেষ হয়ে যায়নি। সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই দেশের প্রধান চালিকাশক্তি বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্ব জনমত তৈরিতে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। এ সময় দেশের গণতন্ত্রের বিকাশে অবদান রাখায় প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, যেটা ২০২৪ সালে কার্যকর করার কথা ছিল, সেটা আমরা দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এরপর ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, শিশু-নারী হাসপাতালে আক্রমণ করা। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। এভাবে একটা জাতিকে ধ্বংস করা, নারীদের ধ্বংস করা, এটা এক ধরনের গণহত্যা। আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি, আগামীতে পাঠাব। এরপর আবার ইয়মেনে আক্রমণ। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। মিয়ানমার যখন অশান্ত হলো, তারা আশ্রয় চাইল, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যুদ্ধে যাইনি। কারণ আমরা শান্তি চেয়েছি।

বিশ্বব্যাপী একটা যুদ্ধাংদেহী অবস্থা। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্র প্রতিযোগীতা বন্ধ করে অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে আওয়ামী লীগ। উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়েছে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

শান্তিপূর্ণ অবস্থা না থাকলে উন্নতি হয় না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বে শান্তি আনতে যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্রের টাকা দিয়ে শিশুকল্যাণ ও মানবকল্যাণে সেই টাকা ব্যবহার করা উচিত।

পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৯:১১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচন করেনি। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনের বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়, দেশের মানুষের বিজয়।

সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি আলো ঝলমলে নির্বাচনে পথ হারায় বলে অন্ধকার গলি খোঁজে। এখনও নির্বাচন বাতিল করতে তারা লাফালাফি করছে। চক্রান্ত শেষ হয়ে যায়নি। সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই দেশের প্রধান চালিকাশক্তি বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্ব জনমত তৈরিতে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকেন। এ সময় দেশের গণতন্ত্রের বিকাশে অবদান রাখায় প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, যেটা ২০২৪ সালে কার্যকর করার কথা ছিল, সেটা আমরা দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এরপর ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, শিশু-নারী হাসপাতালে আক্রমণ করা। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। এভাবে একটা জাতিকে ধ্বংস করা, নারীদের ধ্বংস করা, এটা এক ধরনের গণহত্যা। আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি, আগামীতে পাঠাব। এরপর আবার ইয়মেনে আক্রমণ। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। মিয়ানমার যখন অশান্ত হলো, তারা আশ্রয় চাইল, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যুদ্ধে যাইনি। কারণ আমরা শান্তি চেয়েছি।

বিশ্বব্যাপী একটা যুদ্ধাংদেহী অবস্থা। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্র প্রতিযোগীতা বন্ধ করে অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় করার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে আওয়ামী লীগ। উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়েছে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

শান্তিপূর্ণ অবস্থা না থাকলে উন্নতি হয় না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বে শান্তি আনতে যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্রের টাকা দিয়ে শিশুকল্যাণ ও মানবকল্যাণে সেই টাকা ব্যবহার করা উচিত।