ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলে দুর্দান্ত শুরু ঢাকার

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নামের স্বার্থকতা রেখেছে দুর্দান্ত ঢাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজির নামের মতোই বিপিএলের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় না পেলেও ৫ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছেন মোসাদ্দেক-শরীফুল-তাসকিনরা। প্রথমে বল হাতে শরীফুলের দারুণ হ্যাটট্রিকের পর ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখের দুর্দান্ত ফিফটিতে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের শেষ ওভারে ভিক্টোরিয়ানসের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় দুর্দান্ত ঢাকা।

ম্যাচ যে শেষ দিকে এতটা জমে উঠবে, সেটা অবশ্য প্রথমে বোঝার উপায় ছিল না। মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিক্টোরিয়ানস ইনিংসের ১৫ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারালেও শেষ দুই ওভারে হারায় পাঁচ উইকেট। চলতি বিপিএলের প্রথম ও বিপিএল ইতিহাসে সপ্তম হ্যাটট্রিক করেন পেসার শরীফুল ইসলাম। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় সর্বশেষ দুই মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।

তবুও শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের কারণে হয়তো কিছুটা আশা রেখেছিলেন কুমিল্লার সমর্থকেরা। কিন্তু নাঈম শেখের আগ্রাসী ব্যাটিং সে আশার গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিল। আক্রমণের প্রথম রূপটা দেখা যায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। মুশফিক হাসানের ওই ওভারের দুই ছক্কা আর এক চারে ১৯ রান তোলেন দুর্দান্ত ঢাকার ওপেনার।

নাঈমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন গুনাথিলাকা। দুজনের ব্যাটিং নৈপুন্যে ভর করে করে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৬ রান তোলে ঢাকা। নবাগত ফ্র্যাঞ্জাইজিটি প্রথম উইকেটের জুটিতেই দলীয় শতরাতে পৌঁছায় ইনিংসের ১৩তম ওভারে। অবশ্য তার আগেই ব্যক্তিগত অর্ধশতকের (৪৮ বলে) দেখা পেয়েছেন নাঈম। কিন্তু সেটাকে টেনে লম্বা করতে পারেননি। তানভীর ইসলামের করা সে ওভারের চতুর্থ বলে লং অফে ম্যাথু ফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাঈম (৪০ বলে ৫২ রান)।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গুনাথিলাকাও। দলীয় ১০৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে তানভীরের আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে জাকির আলীর হাতে বন্দী হন ঢাকার এ ওপেনার (৪২ বলে ৪১ রান)।

পরপর দুই ওপেনারকে হারানোয় ঢাকার জয়ের পথ কঠিন হতে থাকে। পরের ওভারে লাসিথ ক্রোসপুল্লেকে ফিরিয়ে ঢাকার বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন ৮ বলে ৫ রান করা ক্রোসপুল্লে।

এক পর্যায়ে সমীকরণ দাঁড়ায় – ৪ ওভারে করতে হবে ২৬ রান। হাতে আরও ৭ উইকেট। ঢাকার জয়টাকে তখন সময়ের ব্যাপার মনে হলেও ভিক্টোরিয়ানসের বোলাররা ঢাকার ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন করে তোলেন। কিন্তু ভিক্টোরিয়ানস ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ-ম্যাথু ফোর্ডেদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু ম্যাচের ১৯তম ওভারে সাইফকে বোল্ড (৮ বলে ৭ রান) করে আবার কুমিল্লার আশা বাড়ান খুশদিল শাহ। কিন্তু খুশদিলের সে ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচের ভাগ্য আবারও ঢাকার দিকে নিয়ে যান শুক্কুর আলী।

ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র চার রান ঢাকার। মোস্তাফিজের প্রথম ওভার থেকে অতিরিক্ত এক রান আসে। দ্বিতীয় বলে শুক্কুরকে ফিরিয়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন কাটার মাস্টার। কিন্তু উইকেটে এসেই মোস্তাফিজের পরের বলে ছ্ক্কা হাকিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলে দুর্দান্ত শুরু ঢাকার

আপডেট সময় : ০৫:১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

নামের স্বার্থকতা রেখেছে দুর্দান্ত ঢাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজির নামের মতোই বিপিএলের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় না পেলেও ৫ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছেন মোসাদ্দেক-শরীফুল-তাসকিনরা। প্রথমে বল হাতে শরীফুলের দারুণ হ্যাটট্রিকের পর ব্যাটিংয়ে নাঈম শেখের দুর্দান্ত ফিফটিতে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের শেষ ওভারে ভিক্টোরিয়ানসের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় দুর্দান্ত ঢাকা।

ম্যাচ যে শেষ দিকে এতটা জমে উঠবে, সেটা অবশ্য প্রথমে বোঝার উপায় ছিল না। মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিক্টোরিয়ানস ইনিংসের ১৫ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারালেও শেষ দুই ওভারে হারায় পাঁচ উইকেট। চলতি বিপিএলের প্রথম ও বিপিএল ইতিহাসে সপ্তম হ্যাটট্রিক করেন পেসার শরীফুল ইসলাম। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় সর্বশেষ দুই মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা।

তবুও শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের কারণে হয়তো কিছুটা আশা রেখেছিলেন কুমিল্লার সমর্থকেরা। কিন্তু নাঈম শেখের আগ্রাসী ব্যাটিং সে আশার গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিল। আক্রমণের প্রথম রূপটা দেখা যায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। মুশফিক হাসানের ওই ওভারের দুই ছক্কা আর এক চারে ১৯ রান তোলেন দুর্দান্ত ঢাকার ওপেনার।

নাঈমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন গুনাথিলাকা। দুজনের ব্যাটিং নৈপুন্যে ভর করে করে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৬ রান তোলে ঢাকা। নবাগত ফ্র্যাঞ্জাইজিটি প্রথম উইকেটের জুটিতেই দলীয় শতরাতে পৌঁছায় ইনিংসের ১৩তম ওভারে। অবশ্য তার আগেই ব্যক্তিগত অর্ধশতকের (৪৮ বলে) দেখা পেয়েছেন নাঈম। কিন্তু সেটাকে টেনে লম্বা করতে পারেননি। তানভীর ইসলামের করা সে ওভারের চতুর্থ বলে লং অফে ম্যাথু ফোর্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাঈম (৪০ বলে ৫২ রান)।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গুনাথিলাকাও। দলীয় ১০৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে তানভীরের আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে জাকির আলীর হাতে বন্দী হন ঢাকার এ ওপেনার (৪২ বলে ৪১ রান)।

পরপর দুই ওপেনারকে হারানোয় ঢাকার জয়ের পথ কঠিন হতে থাকে। পরের ওভারে লাসিথ ক্রোসপুল্লেকে ফিরিয়ে ঢাকার বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন ৮ বলে ৫ রান করা ক্রোসপুল্লে।

এক পর্যায়ে সমীকরণ দাঁড়ায় – ৪ ওভারে করতে হবে ২৬ রান। হাতে আরও ৭ উইকেট। ঢাকার জয়টাকে তখন সময়ের ব্যাপার মনে হলেও ভিক্টোরিয়ানসের বোলাররা ঢাকার ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন করে তোলেন। কিন্তু ভিক্টোরিয়ানস ফিল্ডারদের মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজ-ম্যাথু ফোর্ডেদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। কিন্তু ম্যাচের ১৯তম ওভারে সাইফকে বোল্ড (৮ বলে ৭ রান) করে আবার কুমিল্লার আশা বাড়ান খুশদিল শাহ। কিন্তু খুশদিলের সে ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচের ভাগ্য আবারও ঢাকার দিকে নিয়ে যান শুক্কুর আলী।

ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র চার রান ঢাকার। মোস্তাফিজের প্রথম ওভার থেকে অতিরিক্ত এক রান আসে। দ্বিতীয় বলে শুক্কুরকে ফিরিয়ে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন কাটার মাস্টার। কিন্তু উইকেটে এসেই মোস্তাফিজের পরের বলে ছ্ক্কা হাকিয়ে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা।