দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের সংকট সরকার কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এবার দেশের দ্রব্যমূল্যসহ নানা সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। আমরা আজ দাবি করতে পারি, আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। বিরোধী অপশক্তি নির্বাচন বানচালের সব ধরণের পন্থা অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার (১৯শে জানুয়ারি) বেলা ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০শে জানুয়ারি হতে যাচ্ছে। এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক। নির্বাচনের পরেও বিএনপি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পাঁয়তারা করছে।’

অগণতান্ত্রিক পন্থায় অসাংবিধানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল জানিয়ে কাদের বলেন, জনগণের চেষ্টায় সেসব অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এতো ষড়যন্ত্রের পরও যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তা সন্তোষজনক।

কাদের দাবি করেন, ‘বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। এখনও দলটি নানাভাবে চেষ্টা করছে দেশকে নিয়ে অপপ্রচার করতে।’

বিএনপি নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাঁর এমন বক্তব্য নিজের মুখেই কলঙ্ক লেপে দিয়েছে।’

কাদের দাবি করেন, ‘নির্বাচনের পরের সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সরকার। সরকার এবার দেশের দ্রব্যমূল্যসহ নানা সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।’

অগ্নিসন্ত্রাসসহ সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ থাকলেও বিএনপি-জামায়াত যেকোনো সময় বড় ধরনের সহিংসতা করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জেল জরিমানাসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছে, এছাড়া শক্তি সঞ্চয় করতেও তারা সময় নিচ্ছে।’

এসময় বিএনপিকে নেতিবাচক রাজনীতি না করে ইতিবাচক রাজনীতি করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, ‘তাদের ভালো কথা বলে কোনো লাভ নেই। তারা আগুনসন্ত্রাস, সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।