এ লড়াই জনগণের সঙ্গে অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের: মঈন খান
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
চলমান আন্দোলন বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নয়, বরং নিরস্ত্র জনগণের সঙ্গে অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক ওই সভার আয়োজন করে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, বিএনপি বা বিরোধী দল ক্ষমতায় নেই, আমি মনে করি না এটা নিয়ে আমাদের খুববেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে। এখানে মানুষকে উপলব্ধি করতে হবে আজকের আন্দোলন কিন্তু বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ নয়। আজকের এই আন্দোলন হচ্ছে একটা রাষ্ট্রশক্তি বনাম নিরস্ত্র জনগণের শক্তির, নিরস্ত্র জনগণের শক্তি বনাম অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের শক্তির। এই যে কঠিন সংগ্রাম, সেই সংগ্রামটা কিন্তু আমাদের উপলব্ধির ভেতরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে যদি কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে মধ্যরাতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। আজকে সিএসএ হয়েছে, ডিএসএ হয়েছে, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এই বাংলাদেশের জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, তাহলে কেন আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে আমরা এই অবস্থায় রয়েছি?
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, অনেকেই আমাদের সমালোচনা করেন, প্রত্যাশা ছিল এটা সত্যি। আমরা যে আন্দোলন করছি সেটা কিন্তু বিএনপি বা কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাবে সে কারণে নয়, আমরা সংগ্রাম করছি একটি পরিবর্তনের জন্য। সেই পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা আন্দোলন করছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ৭ জানুয়ারি আমাদের যে বিরোধী দল আছে, আমাদের পরাজয় হয়েছে- এটা আমি মনে করি না। অনেকেই যেটা বলে- আমরা কি অর্জন করেছি। আমারা এটাই বলি- জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি, সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি- ৭ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের পরাজয় হয়েছে। কারণ, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, ভোটাররা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঈন খান অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার বারবার চেষ্টা করেছে গণতন্ত্রকামী বিরোধী দল, বিরোধী শক্তি যেগুলো আছে, সেগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রায়িত করার, স্বীকৃতি দেয়ার। তাদের আইয়েসের চিত্র দেয়ার চেষ্টা করেছে, তালেবানের চিত্র দেয়ার চেষ্টা করেছে। আজকে আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি কিভাবে হয়?
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির কনভেইনার ও বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।