০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির নতুন কর্মসূচির কথা শুনে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, সংসদ বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশের জেলা সদর ও মহানগরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসুচী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করছেন। বিএনপি আন্দোলনকে হাসি- তামাশার বিষয় বানিয়ে ফেলেছে।

তাদের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার ঘোষণাও দেন তিনি। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কারো স্বীকৃতির আশায় বসে নেই সরকার। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি বলেন, বিএনপিকে আবার পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কোনো আন্দোলন করে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নষ্ট করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে ২৮ অক্টোবরের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, সেই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। বিএনপির আন্দোলনের স্পষ্ট নন, একবার তারা আন্দোলন অংশ হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে, আবার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে। আসলে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের বারবার ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশার পরিণত করেছে।

ওবায়দুল কাদের কথা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গেও। এছাড়া নতুন সরকারকে কোন দেশ স্বীকৃতি দিলো তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে আমরা বাধা দেব না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার রয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির বাইরে নয়। কিন্তু আন্দোলন নামে সংঘাত, কর্মসূচির নামে তারা যদি সহিংসার আশ্রয় নেয়, সেই অবস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রযোগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করব।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নতুন কর্মসূচির কথা শুনে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

আপডেট : ১০:১৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, সংসদ বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি সারাদেশের জেলা সদর ও মহানগরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসুচী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করছেন। বিএনপি আন্দোলনকে হাসি- তামাশার বিষয় বানিয়ে ফেলেছে।

তাদের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার ঘোষণাও দেন তিনি। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কারো স্বীকৃতির আশায় বসে নেই সরকার। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসময় তিনি বলেন, বিএনপিকে আবার পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। কোনো আন্দোলন করে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নষ্ট করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে ২৮ অক্টোবরের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, সেই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। বিএনপির আন্দোলনের স্পষ্ট নন, একবার তারা আন্দোলন অংশ হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে, আবার নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে। আসলে বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের বারবার ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনকে হাসি তামাশার পরিণত করেছে।

ওবায়দুল কাদের কথা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গেও। এছাড়া নতুন সরকারকে কোন দেশ স্বীকৃতি দিলো তা নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করলে আমরা বাধা দেব না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার রয়েছে। এটা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির বাইরে নয়। কিন্তু আন্দোলন নামে সংঘাত, কর্মসূচির নামে তারা যদি সহিংসার আশ্রয় নেয়, সেই অবস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রযোগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে। রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করব।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।