বৃষ্টির আভাস, শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
- আপডেট সময় : ০৮:১২:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
দেশের ২ বিভাগ ও ৫ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আজ সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই তাপমাত্রা কম। রাজধানীতে সোমবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠাকুরগাঁওয়ে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাড় কাঁপানো শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। এমন অবস্থায় যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (২২ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু টাঙ্গাইলে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রেখেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় টাঙ্গাইল জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লুৎফর রহমান তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে আবহাওয়া অফিসের থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মাপার পরে শিক্ষা অফিসে রিপোর্ট পাঠাতে বিলম্ব হয়। আজ সকালে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ১৩ পয়েন্টে চলে এসেছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বলেন, আবহাওয়া অফিসের রিপোর্ট পেতে দেরি হয় যার ফলে দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শুরু হয়ে যায়,পরে স্কুল বন্ধ রাখা সম্ভব হয়না।
এদিকে, ঢাকার দক্ষিণের জেলাগুলোসহ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার এই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি মাসের শেষের দিকেও শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াতেও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ওমর ফারুক বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবারও তাপমাত্রা কম থাকবে। এরপর আগামী বুধবার থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে।
সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে। উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে নওগাঁ ও দিনাজপুরে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচের দিকে নেমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানান, চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। মধ্যরাতের পর থেকে কুয়াশা থাকছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় নওগাঁয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-উত্তরপূর্বাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। চলমান মৃদু শৈত্য প্রবাহে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান। জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে ১০ ডিগ্রির নিচে থাকলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।
জয়পুরহাটে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া কার্যালয়ের টেলিপ্রিন্ট অপারেটর আরমান হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরমান হোসেন জানান, জয়পুরহাটে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র না থাকায় পাশের জেলা নওগাঁর বদলগাছীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পূর্বাভাসকেই এখানকার জন্যও পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়। এ বছরেই প্রথম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় জয়পুরহাটে। এর আগে কখনো এমন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি।
জয়পুরহাটের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২১ জানুয়ারি ও ২২ জানুয়ারি প্রাথমিকে বিদ্যালয় খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও মাধ্যমিকে স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তবে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটির বিষয়টি জানতেন না। ফলে অনেকে বিদ্যালয় খোলা রেখেছেন। এতে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বগুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হওয়ায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক দিনের জন্য জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
সোমবার সকালে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী বলেন, জেলার আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় সরকারি বিধি মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগামীকাল তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে হলে শিক্ষা কার্যক্রম আবার চালু হবে।
শীতের তীব্রতায় ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসায় আজ দিনাজপুরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধের কথা জানিয়ে বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে আবারও সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হবে। তবে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধের বিষয়ে আগে থেকে কোনো নোটিশ না দেওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সকালে ছেলে মেয়ে নিয়ে এসে ফিরে যান। এ কারণে ভবিষ্যতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হলে আগাম নোটিশ দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা এই মৌসুমের জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীতের তীব্রতা বেড়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুজ্জামান আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে আবারও চালু করা হবে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পাবনা জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২২ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রাজা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রোববার পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় সোমবার থেকে দুইদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাঁরা জানান, জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে। তাই শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার ও মঙ্গলবার জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বুধবার থেকে যাথারীতি পাঠদান শুরু হবে বিদ্যালয়গুলোতে।
নাটোরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা থাকায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) নাটোরের সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত দুটি নোটিশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বলেন, নাটোর জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস একযোগে সোমবারের সব ক্লাস স্থগিত করেছে। তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণের জেলাগুলোসহ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আব্দুর রহমান খান বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। রাজশাহী, রংপুর বিভাগের সব জেলাতেই মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলবে আরও কয়েক দিন।
এদিকে আজ নওগাঁ ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন।
এর আগে আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোসহ টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়াতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ওমর ফারুক বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবারও তাপমাত্রা কম থাকবে। এরপর আগামী বুধবার থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবার বাড়তে থাকবে।
সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচের দিকে নেমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানান, চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে নেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। মধ্যরাতের পর থেকে কুয়াশা থাকছে। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।