বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপে দেশের জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হারিয়েছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গোয়েন্দাসংস্থার লোকদের অর্থ না দিলে আবারও বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। জেলগেটে টাকা না দেয়ার কারণে অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে অর্থ লুটের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বিকলাঙ্গ করে সর্বগ্রাসী রাষ্ট্র গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। জনগণকে স্বৈরশাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করেছে। নিপীড়ক সরকার কখনও কোনো রাজনৈতিক আচরণ করেনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আরও বলেন, নির্বাচনকে বিকৃত করেছে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচন ঘিরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। অমানবিক নির্যাতন করেছে। অনেকে আদালত থেকে জামিন পেলেও কারামুক্তি মিলছেনা। নিজেকে টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার এই সংগ্রাম অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে অব্যাহত।