নিবেদিত কর্মীদের বহিষ্কার দুঃখজনক: রওশন
- আপডেট সময় : ০৫:১২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪০৫ বার পড়া হয়েছে
শৃংখলাভঙ্গের অজুহাতে দলের নিবেদিত কর্মীদের বহিষ্কার দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। সোমবার রওশন এরশাদের রাজনৈতিক রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে রওশন বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে যে সব নেতাকর্মী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট এদেরকে দল থেকে বহিষ্কার বা অব্যাহতি প্রদান অতীব দুঃখজনক। বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তথাকথিত দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের ভঙ্গুর অজুহাত তুলে দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। অনতিবিলম্বে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের দলে ফিরিয়ে এনে-স্ব-স্ব পদে বহালের আহবান জানাচ্ছি।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের পর দলটির পরাজিত প্রার্থীদের একটি অংশের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল জাতীয় পার্টি। চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অহযোগিতার অভিযোগ এনে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার অনুসারীরা নির্বাচন বর্জন করেন। তাঁদের অভিযোগ, রওশনপন্থিদের কোনঠাসা করতে নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলটির প্রার্থীরা এই আসনগুলোতেও নির্বাচিত হতে পারেননি। দ্বাদশ সংসদে জাতীয় পার্টির পাওয়া আসন ১১টি। আওয়ামী লীগের ছাড় দেওয়া আসন ছাড়া কোনো আসনেই জয় পাননি দলটির প্রার্থীরা। এ নিয়ে দলটির নেতা–কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
বিক্ষোভে ইন্ধনের অভিযোগে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সমালোচনা করায় বহিষ্কার হয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরী।
বিবৃতিতে রওশন আরও বলেন, ‘যেই মুহুর্তে প্রয়োজন সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে নির্বাচনে বিপর্যয় এড়িয়ে দলকে শক্তিশালী করা, সেই মুহুর্তে নিবেদিত প্রাণ নেতা কর্মীদের দল থেকে বের করে দিয়ে দলকে ন্যাপ মোজাফ্ফর, ন্যাপ ভাসানী ও মুসলীম লীগে রূপান্তরের সামিল। তাই অনতিবিলম্বে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার সকলে প্রয়াস গ্রহণের জন্য পার্টির চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’