ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রংপুরকে জেতালেন বাবর ও আজমতউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে যখন হারের প্রহর গুনছিল রংপুর রাইডার্স, তখন দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়লেন বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২০ রান করে সিলেট। রান তাড়া করতে নেমে লো স্কোরিং ম্যাচেও হারের শঙ্কায় পড়েছিল রংপুর।

ম্যাচের এক পর্যায়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর। সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও বাবরের ৬৮ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ৪ উইকেটের জয় পায় রংপুর।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট শুরুতেই ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারায়। স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ ৫০ ছোঁয়ার আগেই প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নেন রংপুরের বোলাররা।

ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনকে ৫ ও ইয়াসির আলিকে ৯ রানে শিকার করেন স্পিনার মাহেদি।

আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৪ রানে হাসান মুরাদ এবং জাকির হাসানকে ১ রানে বিদায় করেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। তিন নম্বরে নেমে ৬ রানে রান আউট হন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

নবম ওভারে দলের হাল ধরেন হাওয়েল ও কাটিং। উইকেট পতন ঠেকিয়ে রানের গতি বাড়াতে মনোযোগী হয় এ জুটি। ১৬তম ওভারে জুটিতে ৫০ পূর্ণ করেন দু’জনে।

১৭তম ওভারে দলীয় ১শ রান পূর্ণ করে সিলেট। পরের ওভারে কাটিংকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন পেসার রিপন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন কাটিং।

শেষ ওভারে হাওয়েলকেও শিকার করেন রিপন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩১ রান করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান করে সিলেট। রংপুরের মাহেদি ১৮ রানে ও রিপন ১৯ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

১২১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারে ৩৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় রংপুর। রনি তালুকদারকে ৬ রানে জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা, ব্রান্ডন কিংকে শূণ্যতে স্পিনার নাজমুল ইসলাম ও অধিনায়ক নুরুল হাসানকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এনে ৩ উইকেট তুলে নেন শ্রীলংকার স্পিনার দুশান হেমন্থ। শামিম হোসেনকে ২, নবি ও মাহেদিকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি।

শুরুতেই বিপদে পড়া রংপুরকে লড়াইয়ে ফেরাতে সপ্তম উইকেটে জুটি বাঁধেন বাবর ও ওমরজাই। পরিস্থিতির সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল করেন তারা। এতে ১৭তম ওভারে ১শতে পৌঁছে যায় রংপুর। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকী রেখে রংপুরকে জয়ের স্বাদ দেন বাবর ও ওমরজাই।

টি-টোয়েন্টিতে ৮১তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬টি চারে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন বাবর। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ বলে অনবদ্য ৪৭ রান করেন ওমরজাই। সিলেটের হেমন্থ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১২০/৮, ২০ ওভার (হাওয়েল ৪৩, কাটিং ৩১, মাহেদি ১/১৮)।
রংপুর রাইডার্স : ১২৫/৬, ১৮.২ ওভার (বাবর ৫৬*, ওমরজাই ৪৭*, হেমন্থ ৩/২০)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে জয়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

রংপুরকে জেতালেন বাবর ও আজমতউল্লাহ

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে যখন হারের প্রহর গুনছিল রংপুর রাইডার্স, তখন দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়লেন বাবর আজম ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।

আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২০ রান করে সিলেট। রান তাড়া করতে নেমে লো স্কোরিং ম্যাচেও হারের শঙ্কায় পড়েছিল রংপুর।

ম্যাচের এক পর্যায়ে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারায় রংপুর। সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও বাবরের ৬৮ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ৪ উইকেটের জয় পায় রংপুর।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট শুরুতেই ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারায়। স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ ৫০ ছোঁয়ার আগেই প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নেন রংপুরের বোলাররা।

ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনকে ৫ ও ইয়াসির আলিকে ৯ রানে শিকার করেন স্পিনার মাহেদি।

আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৪ রানে হাসান মুরাদ এবং জাকির হাসানকে ১ রানে বিদায় করেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। তিন নম্বরে নেমে ৬ রানে রান আউট হন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

নবম ওভারে দলের হাল ধরেন হাওয়েল ও কাটিং। উইকেট পতন ঠেকিয়ে রানের গতি বাড়াতে মনোযোগী হয় এ জুটি। ১৬তম ওভারে জুটিতে ৫০ পূর্ণ করেন দু’জনে।

১৭তম ওভারে দলীয় ১শ রান পূর্ণ করে সিলেট। পরের ওভারে কাটিংকে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন পেসার রিপন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রান করেন কাটিং।

শেষ ওভারে হাওয়েলকেও শিকার করেন রিপন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩১ রান করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান করে সিলেট। রংপুরের মাহেদি ১৮ রানে ও রিপন ১৯ রানে ২টি করে উইকেট নেন।

১২১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সপ্তম ওভারে ৩৯ রানেই ৬ উইকেট হারায় রংপুর। রনি তালুকদারকে ৬ রানে জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা, ব্রান্ডন কিংকে শূণ্যতে স্পিনার নাজমুল ইসলাম ও অধিনায়ক নুরুল হাসানকে ৮ রানে ফিরিয়ে দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এনে ৩ উইকেট তুলে নেন শ্রীলংকার স্পিনার দুশান হেমন্থ। শামিম হোসেনকে ২, নবি ও মাহেদিকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি।

শুরুতেই বিপদে পড়া রংপুরকে লড়াইয়ে ফেরাতে সপ্তম উইকেটে জুটি বাঁধেন বাবর ও ওমরজাই। পরিস্থিতির সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল করেন তারা। এতে ১৭তম ওভারে ১শতে পৌঁছে যায় রংপুর। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকী রেখে রংপুরকে জয়ের স্বাদ দেন বাবর ও ওমরজাই।

টি-টোয়েন্টিতে ৮১তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬টি চারে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন বাবর। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ বলে অনবদ্য ৪৭ রান করেন ওমরজাই। সিলেটের হেমন্থ ২০ রানে ৩ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১২০/৮, ২০ ওভার (হাওয়েল ৪৩, কাটিং ৩১, মাহেদি ১/১৮)।
রংপুর রাইডার্স : ১২৫/৬, ১৮.২ ওভার (বাবর ৫৬*, ওমরজাই ৪৭*, হেমন্থ ৩/২০)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে জয়ী।