নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে যে প্রহসন হয়েছে, সেটা সারা পৃথিবীর কাছে পরিষ্কার। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের বরাত দিয়ে এখন তারা মিথ্যাচার করছে। কিন্তু সরকার শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবে না। দেশের অর্থনীতি যে ভয়াবহ খারাপ তা সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় প্রমাণিত। সরকারের হাতে টাকা নেই বলে বড় বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী টাস্কফোর্সের সভা ডেকেছে। উন্নয়নের ফানুস চুপসে যাচ্ছে। নতুন রূপে পুরোনো স্বৈরাচার সরকারের আওয়াজও চুপসে যাবে। গদিও উল্টে যাবে। অপেক্ষা করেন।
চতুর্থ দিনের মতো গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে নাগরিক ঐক্য। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগর ৭১ হোটেলের বিপরীতে ‘প্রহসনের নির্বাচন মানি না, গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’শীর্ষক এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে গণস্বাক্ষর।
মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে স্বাক্ষর পরবর্তী বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ এস এম সোলায়মান চৌধুরী, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
মান্না বলেন, এই সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়েছে শুধু তাই না, জনগণের জান, মাল, খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। তাই এই দখলদার সরকারকে অপসারণের দায়িত্ব এখন সবার।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘ভোটবিহীন এই সরকার কোনো দিন জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের মুক্তির জন্য। যে সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং সম্পদ কুক্ষিগত করে, সেই সরকার কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে?’
গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণতন্ত্রের পক্ষে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিবাদী কবিতা ও গণসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।