ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের ৪১ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ৪১ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। রাজধানীতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সাথে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ দেশের ৩ জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। যা এই মাসজুড়েই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকায় হাঁড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। শীতের তীব্রতার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

উত্তরবঙ্গসহ দেশের বেশিরভাগ জেলায় অনুভুত হচ্ছে মাঘের শীতের কাঁপন। রাজধানীসহ সারা দেশেই নেমেছে তাপমাত্রা। শৈত্যপ্রবাহের কবলে দেশের ৪১ জেলা। ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ অন্তত ছয় জেলায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে নামায় চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

গত দুই সপ্তাহ ধ‌রে ঠাকুরগাঁও‌য়ের ওপর দি‌য়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এমন পরিস্থিতিতেও ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে।

ক‌য়েক‌টি বিদ্যালয়ে গি‌য়ে দেখা যায়, তীব্র ঠান্ডায়ও শিক্ষার্থী‌দের খোলা আকাশের নি‌চে দাঁড় ক‌রি‌য়ে পিটি করানো হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও তা না করায় অনেক অভিভাবক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপ‌জেলার মিলনপুর উচ্চ বিদ‌্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হা‌মিদ বলেন, ঠাকুরগাঁও‌য়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। কুয়াশার সঙ্গে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাসে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পাওয়ায় বিদ্যালয় খোলা রয়েছে।

রংপুর বিভাগে সবগুলো জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় এই বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়।

এই বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫টি। এছাড়া বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৪৬টি, মাদরাসা ১ হাজার ৫৩৮টি এবং এবতেদায়ী মাদরাসা ১ হাজার ৫৪৮টি রয়েছে।

রংপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের সবগুলো জেলাতেও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে রাজশাহী ব্যতীত সবগুলোতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শুধু রাজশাহীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা আছে।

রাজশাহীতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। এদিকে সকাল ৯টায় বগুড়ায় তাপমাত্রা ৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দশমিক ৮, নওগাঁয় ৯, নাটোরে ৯, পাবনায় ৮, জয়পুরহাটে ৯ ও সিরাজগঞ্জে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

খুলনা বিভাগের ৬টি জেলায় মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এছাড়া যশোরে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুষ্টিয়া ৯ ডিগ্রি ও সাতক্ষীরায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তামমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ায় এই জেলাগুলোতে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইলে ৮ দশমিক ৫, ফরিদপুরে ৭ দশমিক ৫, মাদারীপুরে ৮ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জে ৭ দশমিক ৮ ও কিশোরগঞ্জে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এদিকে সিলেট বিভাগের কোনো জেলাতেই বিদ্যালয় বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবার সিলেট জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৩.৬ ডিগ্রিতে।

এছাড়া পঞ্চগড় জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। এতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এ জেলাটি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

রাজধানী ঢাকাতেও ফের জেঁকে বসেছে শীত। বেড়েছে কুয়াশার দাপট। সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি শীতের মৌসুমে ঢাকায় সর্বনিম্ন ঢাকায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল ১২ ডিগ্রি ১ সেলসিয়াস। এদিকে, আজ দেশে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিু তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। সারাদেশে কুয়াশা, ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের শৈত্য প্রবাহ হিসেবে বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ মোট ৪১টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বজলুর রশিদ আরও জানান, সারা দেশে কনকনে ঠান্ডার মাঝে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে গোটা জানুয়ারি জুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ, বলছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, খুলনায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা জানান, খুলনা জেলায় ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তা কমে দাঁড়ায় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা জিলা স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক শেখ অহিদুল আলম জানান, জেলার ১১৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রবল ঠান্ডায় গোটা দেশেই জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও; তা নিরুত্তাপ। তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সমাজের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেও, কমেছে আয়-রোজগার।

এছাড়াও শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হাসপাতালগুলোয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২৪ ও ২৫ জানুয়ারির দিকে ঢাকা বরিশাল খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হয়ে ঠান্ডা কিছুটা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হওয়াই যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের জেলার সবনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁয় গত এক দিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেলেও মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জেলায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ায় বিকেলের মধ্যেই ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে শুরুতে এ ছুটির সঙ্গে একমত না থাকায় মাধ্যমিকে ছুটির সিদ্ধান্ত আসে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে।

১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা যেসব এলাকায়
ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইল ৮.৫, ফরিদপুর ৭.৫, মাদারীপুর ৮.৩, গোপালগঞ্জ ৭.৮, কিশোরগঞ্জের নিকলি ৮.৬।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী ৭.৮, ঈশ্বরদী ৮, বগুড়া ৯, নওগাঁর বদলগাছী ৯, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ৮.৪।
রংপুর বিভাগ : রংপুর ৯.৬, দিনাজপুর ৮.৪, নীলফামারির সৈয়দপুর ৮.৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ৭.১, নীলফামারির ডিমলায় ৮.৫, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ৭.৫।
সিলেট বিভাগ : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ৯.২।
চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ৯.৪, কুমিল্লা ৯.৯।
খুলনা বিভাগ : খুলনা ৯.৪, সাতক্ষীরা ৯.৫, যশোর ৮.৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ৯।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল ৮.৪, ভোলা ৯.৫।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের ৪১ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ

আপডেট সময় : ০৮:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের ৪১ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। রাজধানীতেও তাপমাত্রা নেমেছে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সাথে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ দেশের ৩ জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। যা এই মাসজুড়েই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকায় হাঁড় কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। শীতের তীব্রতার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে অনেক জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

উত্তরবঙ্গসহ দেশের বেশিরভাগ জেলায় অনুভুত হচ্ছে মাঘের শীতের কাঁপন। রাজধানীসহ সারা দেশেই নেমেছে তাপমাত্রা। শৈত্যপ্রবাহের কবলে দেশের ৪১ জেলা। ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ অন্তত ছয় জেলায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে নামায় চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

গত দুই সপ্তাহ ধ‌রে ঠাকুরগাঁও‌য়ের ওপর দি‌য়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এমন পরিস্থিতিতেও ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রয়েছে।

ক‌য়েক‌টি বিদ্যালয়ে গি‌য়ে দেখা যায়, তীব্র ঠান্ডায়ও শিক্ষার্থী‌দের খোলা আকাশের নি‌চে দাঁড় ক‌রি‌য়ে পিটি করানো হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও তা না করায় অনেক অভিভাবক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যালয় খোলা রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপ‌জেলার মিলনপুর উচ্চ বিদ‌্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হা‌মিদ বলেন, ঠাকুরগাঁও‌য়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। কুয়াশার সঙ্গে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাসে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পাওয়ায় বিদ্যালয় খোলা রয়েছে।

রংপুর বিভাগে সবগুলো জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় এই বিভাগের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়।

এই বিভাগের আট জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫টি। এছাড়া বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩ হাজার ৯৪৬টি, মাদরাসা ১ হাজার ৫৩৮টি এবং এবতেদায়ী মাদরাসা ১ হাজার ৫৪৮টি রয়েছে।

রংপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ দশমিক ৫, নীলফামারীর ডিমলায় ৮ দশমিক ৫, সৈয়দপুরে ৮ দশমিক ৬, লালমনিরহাটে ৮ দশমিক ১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১ এবং গাইবান্ধায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগের সবগুলো জেলাতেও বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে রাজশাহী ব্যতীত সবগুলোতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। শুধু রাজশাহীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা আছে।

রাজশাহীতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। এদিকে সকাল ৯টায় বগুড়ায় তাপমাত্রা ৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দশমিক ৮, নওগাঁয় ৯, নাটোরে ৯, পাবনায় ৮, জয়পুরহাটে ৯ ও সিরাজগঞ্জে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

খুলনা বিভাগের ৬টি জেলায় মঙ্গলবার সকালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা জেলায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। এছাড়া যশোরে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুষ্টিয়া ৯ ডিগ্রি ও সাতক্ষীরায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তামমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হওয়ায় এই জেলাগুলোতে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইলে ৮ দশমিক ৫, ফরিদপুরে ৭ দশমিক ৫, মাদারীপুরে ৮ দশমিক ৩, গোপালগঞ্জে ৭ দশমিক ৮ ও কিশোরগঞ্জে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

এদিকে সিলেট বিভাগের কোনো জেলাতেই বিদ্যালয় বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবার সিলেট জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৩.৬ ডিগ্রিতে।

এছাড়া পঞ্চগড় জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। এতে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে এ জেলাটি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

রাজধানী ঢাকাতেও ফের জেঁকে বসেছে শীত। বেড়েছে কুয়াশার দাপট। সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যে চলতি শীতের মৌসুমে ঢাকায় সর্বনিম্ন ঢাকায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল ১২ ডিগ্রি ১ সেলসিয়াস। এদিকে, আজ দেশে চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিু তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে। সারাদেশে কুয়াশা, ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে আকাশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের শৈত্য প্রবাহ হিসেবে বিস্তার লাভ করতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ মোট ৪১টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বজলুর রশিদ আরও জানান, সারা দেশে কনকনে ঠান্ডার মাঝে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে গোটা জানুয়ারি জুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ, বলছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, খুলনায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা জানান, খুলনা জেলায় ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় তা কমে দাঁড়ায় ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খুলনা জিলা স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক শেখ অহিদুল আলম জানান, জেলার ১১৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা থাকায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, প্রবল ঠান্ডায় গোটা দেশেই জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও; তা নিরুত্তাপ। তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সমাজের ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলেও, কমেছে আয়-রোজগার।

এছাড়াও শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগব্যাধি। আক্রান্তের বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হাসপাতালগুলোয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২৪ ও ২৫ জানুয়ারির দিকে ঢাকা বরিশাল খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হয়ে ঠান্ডা কিছুটা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন। প্রচণ্ড ঠান্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হওয়াই যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের জেলার সবনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁয় গত এক দিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেলেও মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জেলায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৩৭৪টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪৪টি বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হওয়ায় বিকেলের মধ্যেই ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে শুরুতে এ ছুটির সঙ্গে একমত না থাকায় মাধ্যমিকে ছুটির সিদ্ধান্ত আসে রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে।

১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা যেসব এলাকায়
ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইল ৮.৫, ফরিদপুর ৭.৫, মাদারীপুর ৮.৩, গোপালগঞ্জ ৭.৮, কিশোরগঞ্জের নিকলি ৮.৬।
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহী ৭.৮, ঈশ্বরদী ৮, বগুড়া ৯, নওগাঁর বদলগাছী ৯, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ৮.৪।
রংপুর বিভাগ : রংপুর ৯.৬, দিনাজপুর ৮.৪, নীলফামারির সৈয়দপুর ৮.৬, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ৭.১, নীলফামারির ডিমলায় ৮.৫, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ৭.৫।
সিলেট বিভাগ : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ৯.২।
চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ৯.৪, কুমিল্লা ৯.৯।
খুলনা বিভাগ : খুলনা ৯.৪, সাতক্ষীরা ৯.৫, যশোর ৮.৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ৯।
বরিশাল বিভাগ : বরিশাল ৮.৪, ভোলা ৯.৫।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আর ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।