ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আবর্জনা স্তূপের পাশে দিন কাটছে গাজাবাসীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজা। মৃত্যু আতঙ্ক, খাবার-পানি-ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে জর্জরিত বাস্তুচ্যুত, নিঃস্ব বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি। তবে নগর ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ায় রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তাদের ভোগান্তি উঠেছে চরমে, বাড়ছে রোগ-বালাই।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার দেইর-আল বালাহ শহর। প্রায় প্রতিটি রাস্তাই যেন পরিণত হয়েছে একেকটি ময়লা-আবজর্নার ভাগাড়ে।

ইসরায়েলের হামলার পর প্রাণে বাঁচতে, শরণার্থী শিবিরে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশেই খোলা আকাশের নিচে ঠাই হয় বহু ফিলিস্তিনির। কিন্তু ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ তারা।

বাস্তুহারা এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘নুসাইরাত থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে এসেছি। তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে কারণ কোনো জায়গা নেই। চারপাশে অনেক ময়লা-আবর্জনা। বাজে গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে। স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক অবসাদে ভুগছি।’

ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকেই ভেঙে পড়েছে নগর ব্যবস্থাপনা। বর্জ্য সরানো হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি, বলছেন স্থানীয়রা। নোংরা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-বালাই।

আরেক ফিলিস্তিনির ভাষ্যে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এভাবেই চলছে। বোমা হামলা ও বিস্ফোরণের শব্দ ছাড়াও আবর্জনা, দুর্গন্ধ আর রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বারবার পৌরসভাকে জানানো হলেও, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গাজার দেইর আল বালাহ শহরের মেয়র দিয়াব আল-জারৌ জানান, যুদ্ধের আগে স্থানীয়রা যে সেবা পেয়েছিলেন, তা এখন সম্ভব হচ্ছে না। কারণ অনেক ঘাটতির মুখে রয়েছি আমরা। এর মধ্যে কর্মী সংকট, যেটির কথা না বললেই নয়।

শুধু দেইর-আল বালাহ নয়, এমন দৃশ্য গাজার প্রায় সব শহরেই। যুদ্ধের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন জরুরি সেবা থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবর্জনা স্তূপের পাশে দিন কাটছে গাজাবাসীদের

আপডেট সময় : ০৮:১৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজা। মৃত্যু আতঙ্ক, খাবার-পানি-ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকটে জর্জরিত বাস্তুচ্যুত, নিঃস্ব বাসিন্দারা। এ পরিস্থিতিতে রাস্তার পাশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি। তবে নগর ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ায় রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে তাদের ভোগান্তি উঠেছে চরমে, বাড়ছে রোগ-বালাই।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজার দেইর-আল বালাহ শহর। প্রায় প্রতিটি রাস্তাই যেন পরিণত হয়েছে একেকটি ময়লা-আবজর্নার ভাগাড়ে।

ইসরায়েলের হামলার পর প্রাণে বাঁচতে, শরণার্থী শিবিরে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশেই খোলা আকাশের নিচে ঠাই হয় বহু ফিলিস্তিনির। কিন্তু ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ তারা।

বাস্তুহারা এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘নুসাইরাত থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে এখানে এসেছি। তাঁবুতে থাকতে হচ্ছে কারণ কোনো জায়গা নেই। চারপাশে অনেক ময়লা-আবর্জনা। বাজে গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে। স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার পাশাপাশি মানসিক অবসাদে ভুগছি।’

ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকেই ভেঙে পড়েছে নগর ব্যবস্থাপনা। বর্জ্য সরানো হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি, বলছেন স্থানীয়রা। নোংরা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-বালাই।

আরেক ফিলিস্তিনির ভাষ্যে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এভাবেই চলছে। বোমা হামলা ও বিস্ফোরণের শব্দ ছাড়াও আবর্জনা, দুর্গন্ধ আর রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। বারবার পৌরসভাকে জানানো হলেও, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গাজার দেইর আল বালাহ শহরের মেয়র দিয়াব আল-জারৌ জানান, যুদ্ধের আগে স্থানীয়রা যে সেবা পেয়েছিলেন, তা এখন সম্ভব হচ্ছে না। কারণ অনেক ঘাটতির মুখে রয়েছি আমরা। এর মধ্যে কর্মী সংকট, যেটির কথা না বললেই নয়।

শুধু দেইর-আল বালাহ নয়, এমন দৃশ্য গাজার প্রায় সব শহরেই। যুদ্ধের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন জরুরি সেবা থেকে।