০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিজয়ীদের ৯০ শতাংশ কোটিপতি: সুজন

একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ও কোটিপতি সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ করে সুজন।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুজন।

দিলীপ কুমার সরকার জানান, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসেবে যা ৬৬.৮৯ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১.৬৬ শতাংশ।

সুজনের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা যায়, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৬৯ জনের রয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ। যা শতকরা হিসাবে ৮৯.৯৭ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ২৪৭ জন বা ৮২.৩৩ শতাংশ সংসদ সদস্যের ছিল ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় দ্বাদশ সংসদে এবার উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আগে যেখানে এর হার ছিল ৮১ শতাংশ সেখানে এবারের হার ৮২.৬০ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না উল্লেখ করে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেয়া হলফনামা। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফ নামায় তথ্য দিতে বাধ্য করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় হয়েছে উল্লেখ্য করে সুজন সম্পাদক আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে আছে যথার্থ বিকল্প থাকা, সবার জন্য সমতল ক্ষেত্র থাকা, ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ফলাফল কী হবে, তা অজানা থাকা, ক্ষমতার রদবদলের সুযোগ থাকা ইত্যাদি। এর মধ্যে এবারে নির্বাচনে অনেক বৈশিষ্ট্য ছিল না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিজয়ীদের ৯০ শতাংশ কোটিপতি: সুজন

আপডেট : ০৯:৫২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৪

একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ও কোটিপতি সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ করে সুজন।

সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুজন।

দিলীপ কুমার সরকার জানান, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসেবে যা ৬৬.৮৯ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা মোট সংসদ সদস্যের ৬১.৬৬ শতাংশ।

সুজনের প্রকাশিত তথ্যে আরও জানা যায়, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৬৯ জনের রয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ। যা শতকরা হিসাবে ৮৯.৯৭ শতাংশ। যেখানে একাদশ জাতীয় সংসদে ২৪৭ জন বা ৮২.৩৩ শতাংশ সংসদ সদস্যের ছিল ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় দ্বাদশ সংসদে এবার উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আগে যেখানে এর হার ছিল ৮১ শতাংশ সেখানে এবারের হার ৮২.৬০ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না উল্লেখ করে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেয়া হলফনামা। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফ নামায় তথ্য দিতে বাধ্য করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় হয়েছে উল্লেখ্য করে সুজন সম্পাদক আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে আছে যথার্থ বিকল্প থাকা, সবার জন্য সমতল ক্ষেত্র থাকা, ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ফলাফল কী হবে, তা অজানা থাকা, ক্ষমতার রদবদলের সুযোগ থাকা ইত্যাদি। এর মধ্যে এবারে নির্বাচনে অনেক বৈশিষ্ট্য ছিল না।