বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য!
- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় অঞ্চল মনে করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে এই কাল্পনিক ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলটিতে গত প্রায় ১০০ বছরে নিখোঁজ হয়েছে একের পর জাহাজ, উড়োজাহাজ। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক মিথ তৈরি হয়েছে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া জাহাজ, উড়োজাহাজ এবং অজস্র প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা মিথ। কেউ বলেন, এলিয়েন এসে জাহাজ বা উড়োজাহাজ উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। আবার কেউ বলেন, আটলান্টিকের নিচে হারিয়ে যাওয়া শহর রয়েছে। যেখানে অতৃপ্ত আত্মা এবং রাক্ষস শহরের ধ্বংসাবশেষের প্রতিশোধ নিতে জাহাজ এবং উড়োজাহাজে আক্রমণ করে।
তবে সেখানকার ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে কম্পাস সঠিকভাবে কাজ করে না বলে মনে করেন একদল বিজ্ঞানী। আবার বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের ওই এলাকাটি দুর্যোগপ্রবণ বলেও মনে করা হয়। এ ছাড়া ওই এলাকাটি হারিকেনপ্রবণ অঞ্চল। এমনকি মারাত্মক টর্নেডো এবং ঝড়ের খবরও পাওয়া যায়।
বেশ কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান এক বিজ্ঞানী বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যভেদের কথা জানান। কার্ল ক্রুজেলেঙ্কি নামের ওই বিজ্ঞানীর দাবি, ফ্লোরিডা, বারমুডা এবং পুয়ের্তে রিকোর মাঝে অবস্থিত এই অংশে আবহাওয়া ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। সমুদ্রে পানির স্তরও বারবার ওঠানামা করে। ফলে দিকনির্ণয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
বিজ্ঞানী কার্ল ক্রুজেলেঙ্কির দাবি, এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল কোনো রহস্যময় এলাকা নয়। এর পেছনে কোনো অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা জড়িত নেই। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের নানা সম্ভাবনার জন্যই এখানে আবহাওয়ার বৈশিষ্ট ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। যে সংখ্যক জাহাজ এবং উড়োজাহাজ এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে নিখোঁজ হয়েছে তা কোনো নজিরবিহীন ঘটনা নয় বলে মনে করেন তিনি। পৃথিবীর অন্য যেকোনো জায়গায় এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে একাধিক জাহাজ, উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয়েছে।
বিখ্যাত আবহাওয়াবিদ র্যান্ডি কারভ্যানির দাবি, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যের পেছনে রয়েছে হেক্সাগোনাল ক্লাউড অর্থাৎ ষড়ভুজাকৃতি মেঘ। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এই অংশে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে ষড়ভুজাকৃতির মেঘের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বায়ুকে বলা হয় ‘এয়ার বম্ব’। যা প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার সামুদ্রিক ঝড় তৈরি করতে পারে। কোনো জাহাজ এই ঝড়ে টিকে থাকতে পারে না। এমনকি উড়োজাহাজের পক্ষেও এই তীব্র বাতাসের বেগ সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ইনডিপেনডেন্ট