নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি হতাশায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরান ঢাকার বকশিবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে আজ বুধবার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি উপলব্ধি করতে পারছে যে তাদের ভুল হয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হতাশায় ভুগছে। দলটির মধ্যে চরম হতাশা, ভোগান্তি বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, আমার যখন ২০০৯ সালের সরকার গঠন করি, এরপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয় তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না। প্রতীক দেওয়ার বিধান পরে চালু হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মতো নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন, তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। এটা নতুন কিছু না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা করছে। কারও বাঁশির হুইসেলে স্বাধীনতা হয়নি।
তিনি বলেন, বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা কারো হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে আসেনি। বহু সংগ্রাম, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। আমাদের এই স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মতিউর রহমানের আত্মদান রয়েছে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
এর আগে, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে শ্রদ্ধায় কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যার্টাযী, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ কামাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক জগলুল কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের নেতৃত্বে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে কৃষক লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।