ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত বছর ডেলয়েট ফুটবল মানি লিগের মুকুট পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ক্লাব ট্রেবল জিতে দেখিয়ে দিয়েছে, খেলার মাঠেও তারাই এখন সেরা। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তাদের আসন হারিয়ে ফেলেছে। আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

বিশ্বের বিভিন্ন লিগের ক্লাবগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন করে ডেলয়েট ফুটবল মানি লিগ। এবারের প্রতিবেদনে দুটি তথ্য চমকে দিয়েছে। গতবারের চেয়ে শীর্ষ ২০ দলের সম্পদ ১৪% বেড়ে ৯০০ কোটি পাউন্ড হয়েছে। এবং ২০২১-২২ মৌসুমে শীর্ষ ২০ দলে ১১টি ইংলিশ ক্লাব থাকলেও এবার সেটা ৮-এ নেমে এসেছে।

রিয়াল মাদ্রিদের সম্পদ গত মৌসুমের চেয়ে ১১ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড বেড়ে ৭২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড হয়েছে। পুনর্নির্মিত বার্নাব্যু, ক্লাবের স্মারক বিক্রি ও স্পনসরদের থেকে আয় এতে প্রভাব রেখেছে। সিটির আয়ও বেড়েছে। কিন্তু প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড সম্পদ বাড়লেও মাদ্রিদের পেছনে আছে সিটি (৭১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড)।

ব্রিজের ধারণা, সিটির স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা (৫৩, ৪০০) সম্পদে পিছিয়ে থাকায় প্রভাব রেখেছে, ‘সিটির ম্যাচের দিনের আয় ৮ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা সেটা কীভাবে ১০ কোটি ছাড়িয়ে নিতে পারে। রেয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এ দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে।’

মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার আয় বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে পরের তথ্যটি চমকে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে অর্থের দিক থেকে ইংলিশ ক্লাবগুলোর সঙ্গে পেড়ে উঠছে না অন্যরা। ইউরোপের অন্য লিগের সেরা ক্লাবের চেয়েও অর্থের দিক থেকে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের কিছু ক্লাব। টিভি সত্ত্বে এতটাই এগিয়ে থাকে ইংল্য্যান্ড।

কিন্তু ডেলয়েটের প্রতিবেদনে দেখা গেছে মাঠের পারফরম্যান্স দলগুলোর সম্পদেও প্রভাব ফেলেছে। লিভারপুলের আয় যেমন ৫৯ কোটি ৪৩ লাখ পাউন্ড থেকে কমে ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ডে নেমে এসেছে। কিন্তু এটুকুই তাদের তিন থেকে সাতে নামিয়ে দিয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সম্পদ গতবারের চেয়ে বেড়ে ৬৪ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড হলেও তারা চার থেকে পাঁচে চলে গেছে।

কারণ এই এক বছরে বার্সেলোনার সম্পদ ৫৪ কোটি ০৫ লাখ পাউন্ড থেকে বেড়ে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড হয়েছে। আর গত বছর পাঁচে থাকা পিএসজি এবার তিনে (৬৯ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড)।

এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম (৫৪ কোটি ৯০ লাখ) চেলসিকে টপকে আটে চলে এসেছে। আর নয়ে যাওয়া চেলসির (৫১ কোটি ৩০ লাখ) পর আছে আর্সেনাল (৪৬ কোটি ৩০ লাখ)। এদিকে গতবার শীর্ষ বিশে থাকা লেস্টার সিটি, লিডস ইউনাইটেড ও এভারটন বাদ পড়েছে। তাদের জায়গা নিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট, নাপোলি ও মার্শেই।

ডেলয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা টিম ব্রিজ বলেছেন, ‘এটা দেখিয়ে দিচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের বসে থাকলে চলবে না। এটা লক্ষণীয়, টিভি সত্ত্বের আয় বেড়ে গেলেও, লিগকে অনেক বেশি ম্যাচের সত্ত্ব হাতছাড়া করতে হয়েছে।’

ছেলেদের ফুটবলে চারে থাকলেও মেয়েদের ফুটবলে সবচেয়ে এগিয়ে বর্তমানের সফলতম দল বার্সেলোনা। ফেমেনির সম্পদ এখন ১ কোটি ১৬ লাখ পাউন্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭০ লাখ পাউন্ড নিয়ে দুইয়ে আছে, তবে ছেলেদের জার্সি স্পনসরের ভাগ আছে এতে। তিনে আছে মাদ্রিদের নারী দল (৬৫ লাখ পাউন্ড)।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

আপডেট সময় : ০৯:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

গত বছর ডেলয়েট ফুটবল মানি লিগের মুকুট পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ক্লাব ট্রেবল জিতে দেখিয়ে দিয়েছে, খেলার মাঠেও তারাই এখন সেরা। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তাদের আসন হারিয়ে ফেলেছে। আরও একবার বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাব হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

বিশ্বের বিভিন্ন লিগের ক্লাবগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন করে ডেলয়েট ফুটবল মানি লিগ। এবারের প্রতিবেদনে দুটি তথ্য চমকে দিয়েছে। গতবারের চেয়ে শীর্ষ ২০ দলের সম্পদ ১৪% বেড়ে ৯০০ কোটি পাউন্ড হয়েছে। এবং ২০২১-২২ মৌসুমে শীর্ষ ২০ দলে ১১টি ইংলিশ ক্লাব থাকলেও এবার সেটা ৮-এ নেমে এসেছে।

রিয়াল মাদ্রিদের সম্পদ গত মৌসুমের চেয়ে ১১ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড বেড়ে ৭২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড হয়েছে। পুনর্নির্মিত বার্নাব্যু, ক্লাবের স্মারক বিক্রি ও স্পনসরদের থেকে আয় এতে প্রভাব রেখেছে। সিটির আয়ও বেড়েছে। কিন্তু প্রায় ১০ কোটি পাউন্ড সম্পদ বাড়লেও মাদ্রিদের পেছনে আছে সিটি (৭১ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড)।

ব্রিজের ধারণা, সিটির স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা (৫৩, ৪০০) সম্পদে পিছিয়ে থাকায় প্রভাব রেখেছে, ‘সিটির ম্যাচের দিনের আয় ৮ কোটি ৩০ লাখ ইউরো, কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা সেটা কীভাবে ১০ কোটি ছাড়িয়ে নিতে পারে। রেয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা এ দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে।’

মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার আয় বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে পরের তথ্যটি চমকে দিয়েছে। গত কয়েক বছরে অর্থের দিক থেকে ইংলিশ ক্লাবগুলোর সঙ্গে পেড়ে উঠছে না অন্যরা। ইউরোপের অন্য লিগের সেরা ক্লাবের চেয়েও অর্থের দিক থেকে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের কিছু ক্লাব। টিভি সত্ত্বে এতটাই এগিয়ে থাকে ইংল্য্যান্ড।

কিন্তু ডেলয়েটের প্রতিবেদনে দেখা গেছে মাঠের পারফরম্যান্স দলগুলোর সম্পদেও প্রভাব ফেলেছে। লিভারপুলের আয় যেমন ৫৯ কোটি ৪৩ লাখ পাউন্ড থেকে কমে ৫৯ কোটি ৩৮ লাখ পাউন্ডে নেমে এসেছে। কিন্তু এটুকুই তাদের তিন থেকে সাতে নামিয়ে দিয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সম্পদ গতবারের চেয়ে বেড়ে ৬৪ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড হলেও তারা চার থেকে পাঁচে চলে গেছে।

কারণ এই এক বছরে বার্সেলোনার সম্পদ ৫৪ কোটি ০৫ লাখ পাউন্ড থেকে বেড়ে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড হয়েছে। আর গত বছর পাঁচে থাকা পিএসজি এবার তিনে (৬৯ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড)।

এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহাম (৫৪ কোটি ৯০ লাখ) চেলসিকে টপকে আটে চলে এসেছে। আর নয়ে যাওয়া চেলসির (৫১ কোটি ৩০ লাখ) পর আছে আর্সেনাল (৪৬ কোটি ৩০ লাখ)। এদিকে গতবার শীর্ষ বিশে থাকা লেস্টার সিটি, লিডস ইউনাইটেড ও এভারটন বাদ পড়েছে। তাদের জায়গা নিয়েছে ফ্রাঙ্কফুর্ট, নাপোলি ও মার্শেই।

ডেলয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা টিম ব্রিজ বলেছেন, ‘এটা দেখিয়ে দিচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের বসে থাকলে চলবে না। এটা লক্ষণীয়, টিভি সত্ত্বের আয় বেড়ে গেলেও, লিগকে অনেক বেশি ম্যাচের সত্ত্ব হাতছাড়া করতে হয়েছে।’

ছেলেদের ফুটবলে চারে থাকলেও মেয়েদের ফুটবলে সবচেয়ে এগিয়ে বর্তমানের সফলতম দল বার্সেলোনা। ফেমেনির সম্পদ এখন ১ কোটি ১৬ লাখ পাউন্ড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭০ লাখ পাউন্ড নিয়ে দুইয়ে আছে, তবে ছেলেদের জার্সি স্পনসরের ভাগ আছে এতে। তিনে আছে মাদ্রিদের নারী দল (৬৫ লাখ পাউন্ড)।