০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে আমেরিকায়

আমেরিকার আলাবামা অঙ্গরাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন আসামি কেনেথ স্মিথ। আবেদনটি গতকাল বুধবার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু করে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে এ দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কে আইভি। এটি হবে আমেরিকার নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।

এই মৃত্যুদণ্ডকে নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি আখ্যায়িত করে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এবং নিম্ন আপিল আদালতে আবেদন করেছিলেন কেনেথের আইনজীবীরা। এতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে কেনেথ স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানান।

নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য তাঁর মুখে এক ধরনের মাস্ক পরানো হবে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কেনেথ স্মিথ। এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে অবশ্য তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে ওই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে আমেরিকায়

আপডেট : ০৯:২৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

আমেরিকার আলাবামা অঙ্গরাজ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন আসামি কেনেথ স্মিথ। আবেদনটি গতকাল বুধবার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু করে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে এ দণ্ড কার্যকরের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আলাবামার গভর্নর কে আইভি। এটি হবে আমেরিকার নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।

এই মৃত্যুদণ্ডকে নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি আখ্যায়িত করে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে এবং নিম্ন আপিল আদালতে আবেদন করেছিলেন কেনেথের আইনজীবীরা। এতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে কেনেথ স্মিথকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানান।

নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য তাঁর মুখে এক ধরনের মাস্ক পরানো হবে। এ মাস্কের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। মাস্কটি নাইট্রোজেনভর্তি একটি সিলিন্ডারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন কেনেথ স্মিথ। এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ এবং তাঁর এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই নারীর স্বামী চার্লস সেনেট। স্ত্রীর বিমার টাকা পেতে এ ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে অবশ্য তিনি আত্মহত্যা করেন। এ হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে ওই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।