নতুন সরকার জনগণের সরকার নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। আমরা এই নির্বাচন বর্জন করেছি, আমাদের লক্ষ্য দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববাসী জানে গত ৭ জানুয়ারি এদেশে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনের এই স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে কেবল বিএনপিও নয়, আ.লীগের ভোটাররাও সমালোচনা করেছে। কে নির্বাচিত হবে এবং কে নির্বাচিত হবে না এগুলো ভোটের আগে থেকে ঠিক করা ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকব। আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি। রক্তের বিনিময়ে আমরা যে দেশ অর্জন করেছি সেই রক্তের দামকে আমরা বৃথা যেতে দেব না। বাংলাদেশ তৈরি হয়েছিল গরিব মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার জন্য।
কালো পতাকা মিছিলের মাধ্যমে রাজপথে জনগণ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করছে বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আপনারা দেখছেন এখন রাজপথে একটি দলের (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) কালো পতাকা মিছিল যাচ্ছে.. এই সরকারকে রাজপথে বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আমি এই প্রতিবাদী মানুষদের অভিনন্দন জানাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল এদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। আজকে সরকার পদ্মাসেতু করেছে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে, মেট্রোরেল তৈরি করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। আমরা ছোট্ট প্রশ্ন- ৪০ হাজার, ৩০ হাজার কোটি টাকা আপনারা খরচ করতে পারলে বাংলাদেশের শীতার্ত মানুষদের একশ টাকার একটা কম্বল কেন দিতে পারেন না? কেন এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের কম্বল বিতরণ করতে হচ্ছে?’
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।