ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সামান্য কমেছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যা গিয়ে নেমেছে ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়নে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। তাতে বলা হয়, আলোচ্য সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ করা হয়নি। এসময়ে মূলত ছোট আমদানি খরচ এবং বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধ করা হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।

এক সপ্তাহ আগে আইএমএফের হিসাবায়নে দেশে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার।আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতিতে তা ছিল ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২৩ সাল শেষে রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর তা কমে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬)। বিদায়ী বছর শেষে সেই অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের শুরুতে যা কমে হয় ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে দেশে ডলার সংকট তৈরি হয়। সেটা মেটাতে রিজার্ভ থেকে তা বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া নতুন করে ঋণ কম পায় বাংলাদেশ। ফলে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমে যায়।

গত ১৩ ডিসেম্বর তা কমে ১৯ দশমিক ১৭ বিলিয়নে নামে। তবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি ডলার পাওয়ায় রিজার্ভ বাড়ে। মূলত আইএমএফের শর্ত পূরণে সেটা বাড়ানোর চেষ্টা ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইএমএফের হিসাবে দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন

আপডেট সময় : ০৩:৫৬:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সামান্য কমেছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যা গিয়ে নেমেছে ২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়নে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। তাতে বলা হয়, আলোচ্য সপ্তাহে বড় ধরনের কোনো বৈদেশিক দায় পরিশোধ করা হয়নি। এসময়ে মূলত ছোট আমদানি খরচ এবং বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধ করা হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে।

এক সপ্তাহ আগে আইএমএফের হিসাবায়নে দেশে নিট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২০ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার।আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতিতে তা ছিল ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল ও অর্থায়ন যার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২৩ সাল শেষে রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর তা কমে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬)। বিদায়ী বছর শেষে সেই অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের শুরুতে যা কমে হয় ২০ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে দেশে ডলার সংকট তৈরি হয়। সেটা মেটাতে রিজার্ভ থেকে তা বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া নতুন করে ঋণ কম পায় বাংলাদেশ। ফলে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন কমে যায়।

গত ১৩ ডিসেম্বর তা কমে ১৯ দশমিক ১৭ বিলিয়নে নামে। তবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১০৪ কোটি ডলার পাওয়ায় রিজার্ভ বাড়ে। মূলত আইএমএফের শর্ত পূরণে সেটা বাড়ানোর চেষ্টা ছিল।