১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কনকনে শীতেও গরম সবজির বাজার

হুট করে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার। ভরা মৌসুমেও অস্থির শীতকালীন সবজির বাজার। স্বস্তি ফিরছে না কোনো কিছুতেই। মুলা ও পেঁপে ছাড়া সব সবজিই কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে কেজি দরে। তা ছাড়া চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর বাসাবো মাদারটেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গত সপ্তাহে গরুর কলিজা ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংস কিনতে আসা আলাউদ্দিন আল রাজী বলেন, সবকিছুই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো কিছুর দাম ৫০ টাকা কমলে হুট করে অন্যকিছুর দাম ২০০ টাকা বেড়ে যায়। আবার ২০০ টাকা বেড়ে গেলে নানা চেষ্টার পর ২০ টাকা কমায়। আমরা এগুলোই মেনে চলছি। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই। লাগামহীন বাড়ছে সবকিছুর দাম। সরকারের যে মনিটরিং রয়েছে সেটা আহামরি কোনো কাজে দিচ্ছে না। আমরা মেনে নিচ্ছি সব। এভাবে মেনে নিয়েই বাঁচতে শিখে যাচ্ছি।

একাধিক সবজির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকার আশপাশে। ঝিঙে ও ধুন্দুলের দাম বেড়ে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন। প্রতি কেজি বেগুনের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লাউয়ের দামেও সেঞ্চুরি। বড় আকারের প্রতিটি লাউ ১০০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। দরদাম করে নিলে কোথাও কোথাও হয়ত ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে টমেটোর কেজি রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা। মানভেদে শিমের কেজি পড়ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। দরদাম করে কিনলে কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে। আর শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা (পিস), পেঁপে ৫০ টাকা ও মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হলে বাজার করতে আসা সোহরাব নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, যেটাই ধরি সেটির দামই আগুনের মতো। মধ্যবিত্ত দূরে থাক, নিম্নবিত্তের তো কেনার প্রশ্নই আসে না। কারণ, কোনো কিছুর দামই কম না। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। সরকার আজ বলে দাম কমবে। পরদিন থেকেই দাম চড়ে যায়।

তবে বিক্রেতার বলছেন, ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণ দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কৃষকরা বলেছেন, কুয়াশার জন্য ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দাম বাড়ছে।

এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে লেয়ারের দাম। গত সপ্তাহ এবং এ সপ্তাহেও ২৮০ টাকা দরেই লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি এবং কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কক মুরগি।

সবজির পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও চড়া। খিলগাঁওয়ের আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির পাশাপাশি বাজারের অধিকাংশ পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা। বর্তমানে প্রতি কেজি মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা। বাজারে চালসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনের পরে প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এখনো সে দাম স্বাভাবিক হয়নি। বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহে প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৫ টাকা বেশি।

ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন উজ্জ্বল হাসান। তিনি বলেন, এখন কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। বাজারে নতুন পেঁয়াজ, সবজি মাছেরও কমতি নেই এরপরও কোনো কিছুর দাম কমে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং-এর ব্যবস্থা না করা গেলে মনে হয় না, কোনো কিছুর দামই মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।

কনকনে শীতেও গরম সবজির বাজার

আপডেট : ০৭:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

হুট করে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় আবারও নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে গরুর মাংস। তবে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজার। ভরা মৌসুমেও অস্থির শীতকালীন সবজির বাজার। স্বস্তি ফিরছে না কোনো কিছুতেই। মুলা ও পেঁপে ছাড়া সব সবজিই কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে কেজি দরে। তা ছাড়া চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজধানীর বাসাবো মাদারটেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। গত সপ্তাহে গরুর কলিজা ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংস কিনতে আসা আলাউদ্দিন আল রাজী বলেন, সবকিছুই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কোনো কিছুর দাম ৫০ টাকা কমলে হুট করে অন্যকিছুর দাম ২০০ টাকা বেড়ে যায়। আবার ২০০ টাকা বেড়ে গেলে নানা চেষ্টার পর ২০ টাকা কমায়। আমরা এগুলোই মেনে চলছি। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই। লাগামহীন বাড়ছে সবকিছুর দাম। সরকারের যে মনিটরিং রয়েছে সেটা আহামরি কোনো কাজে দিচ্ছে না। আমরা মেনে নিচ্ছি সব। এভাবে মেনে নিয়েই বাঁচতে শিখে যাচ্ছি।

একাধিক সবজির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকার আশপাশে। ঝিঙে ও ধুন্দুলের দাম বেড়ে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন। প্রতি কেজি বেগুনের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লাউয়ের দামেও সেঞ্চুরি। বড় আকারের প্রতিটি লাউ ১০০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। দরদাম করে নিলে কোথাও কোথাও হয়ত ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে টমেটোর কেজি রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা। মানভেদে শিমের কেজি পড়ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। দরদাম করে কিনলে কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে। আর শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা (পিস), পেঁপে ৫০ টাকা ও মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর টাউন হলে বাজার করতে আসা সোহরাব নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, যেটাই ধরি সেটির দামই আগুনের মতো। মধ্যবিত্ত দূরে থাক, নিম্নবিত্তের তো কেনার প্রশ্নই আসে না। কারণ, কোনো কিছুর দামই কম না। প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। সরকার আজ বলে দাম কমবে। পরদিন থেকেই দাম চড়ে যায়।

তবে বিক্রেতার বলছেন, ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণ দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কৃষকরা বলেছেন, কুয়াশার জন্য ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দাম বাড়ছে।

এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে লেয়ারের দাম। গত সপ্তাহ এবং এ সপ্তাহেও ২৮০ টাকা দরেই লেয়ার বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি এবং কেজিপ্রতি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কক মুরগি।

সবজির পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও চড়া। খিলগাঁওয়ের আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৬০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির পাশাপাশি বাজারের অধিকাংশ পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতা। বর্তমানে প্রতি কেজি মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা। বাজারে চালসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্যও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। নির্বাচনের পরে প্রতি কেজি চালের দাম ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এখনো সে দাম স্বাভাবিক হয়নি। বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহে প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৫ টাকা বেশি।

ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছেন উজ্জ্বল হাসান। তিনি বলেন, এখন কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে সব কিছুর দাম বেশি। বাজারে নতুন পেঁয়াজ, সবজি মাছেরও কমতি নেই এরপরও কোনো কিছুর দাম কমে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং-এর ব্যবস্থা না করা গেলে মনে হয় না, কোনো কিছুর দামই মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।