১০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণে ইরানকে চীনের চাপ

সাম্প্রতিক সময়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হুতিদের হামলার ফলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর যাতায়াত খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই জাহাজে হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণে ইরানকে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন চীন। হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণ না করলে বেইজিংয়ের সঙ্গে তেহরানে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।

ইরানের চারটি সূত্র এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ইরানের সূত্র জানিয়েছে, চীন ও ইরানের মধ্যে হামলা এবং বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনার জন্য বেইজিং এবং তেহরানে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকে হয়েছে। তবে এসব বৈঠক কখন আর কারা অংশ নিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

ইরানের চারটি সূত্র জানিয়েছে, হুতি হামলায় বেইজিংয়ের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইরানের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কীভাবে প্রভাবিত হতে পারে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি চীনের কর্মকর্তারা।

ভূমধ্যসাগরে হুতিদের আক্রমণের কারণে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো চীন থেকে এশিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে। ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মূলত চীনের ভাষ্য, তাদের স্বার্থ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তেহরানের সঙ্গে তাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। তাই হুতিদের সংযম দেখানোর কথা ইরানকে বলতে বলেছে তারা।

উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে চীন–ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হলেও তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক একমুখী। যেমন, ট্রেড অ্যানালিটিক্স ফার্ম কেপলারের ট্যাঙ্কার ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, চীনা তেল শোধনকারীরা গত বছর ইরানের অপরিশোধিত রপ্তানির শতকরা ৯০ শতাংশেরও বেশি কিনেছিল। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো অন্যান্য অনেক গ্রাহককে দূরে রেখেছিল এবং চীনা সংস্থাগুলো বড় ছাড় পাওয়ায় লাভবান হয়েছিল।

লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণে ইরানকে চীনের চাপ

আপডেট : ০৮:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হুতিদের হামলার ফলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর যাতায়াত খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই জাহাজে হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণে ইরানকে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন চীন। হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণ না করলে বেইজিংয়ের সঙ্গে তেহরানে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।

ইরানের চারটি সূত্র এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ইরানের সূত্র জানিয়েছে, চীন ও ইরানের মধ্যে হামলা এবং বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনার জন্য বেইজিং এবং তেহরানে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকে হয়েছে। তবে এসব বৈঠক কখন আর কারা অংশ নিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

ইরানের চারটি সূত্র জানিয়েছে, হুতি হামলায় বেইজিংয়ের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইরানের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কীভাবে প্রভাবিত হতে পারে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি চীনের কর্মকর্তারা।

ভূমধ্যসাগরে হুতিদের আক্রমণের কারণে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো চীন থেকে এশিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করছে। ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মূলত চীনের ভাষ্য, তাদের স্বার্থ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তেহরানের সঙ্গে তাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। তাই হুতিদের সংযম দেখানোর কথা ইরানকে বলতে বলেছে তারা।

উল্লেখ্য, গত এক দশক ধরে চীন–ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হলেও তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক একমুখী। যেমন, ট্রেড অ্যানালিটিক্স ফার্ম কেপলারের ট্যাঙ্কার ট্র্যাকিং ডেটা অনুযায়ী, চীনা তেল শোধনকারীরা গত বছর ইরানের অপরিশোধিত রপ্তানির শতকরা ৯০ শতাংশেরও বেশি কিনেছিল। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলো অন্যান্য অনেক গ্রাহককে দূরে রেখেছিল এবং চীনা সংস্থাগুলো বড় ছাড় পাওয়ায় লাভবান হয়েছিল।