সিলেটকে হ্যাটট্রিক হারের লজ্জা দিলো কুমিল্লা
- আপডেট সময় : ০৫:৩১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
এ নিয়ে চলতি আসরের তিনটি ম্যাচেই তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছে মাশরাফির দল। অন্যদিকে নিজেদের টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো কুমিল্লা। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলটি আরও বাজে পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চলতি আসরের সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় পড়েছে সিলেট।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ জমা করতে ব্যর্থ হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। কিন্তু স্বল্প পুঁজি নিয়েও ম্যাচে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা। এমন জয়ে সামনে থেকে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন আলিস আল ইসলাম।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টস হেরে আগে ব্যাট করে ইমরুল কায়েসের ৩০ রান, খুশদিল শাহ ৩১ ও জাকের আলীর ২১ রানে ভর করে ১৩০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে আলিস আল ইসলামের ঘূর্ণিতে ২২ বল বাকি থাকতে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক সিলেট। এতে করে ৫২ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।
এ জয়ে ৩ ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হারের স্বাদ নিয়ে টেবিলে তলানিতে সিলেট সিক্সার্স।
কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেটে আসা যাওয়া করতে থাকেন সিলেটের ব্যাটাররা। এক সময় ২৮ রানেই তারা ৬ষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তখন মনে হয়েছিল দলীয় অর্ধশত পূরণের আগেই হয়ত অলআউট হতে যাচ্ছে সিলেট। কিন্তু রায়ান বার্লকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে জাকির হোসাইন ৪০ রানের জুটি গড়লে দলীয় অর্ধশত রানের দেখা পায় সিলেট।
কিন্তু বার্ল ১৮ বলে ১৪ রান করে রস্টন চেজের শিকার হওয়ার পর আর দাঁড়াতে পারেনি সিলেটের ব্যাটাররা। জাকির ৩৪ বলে ৪১ রান করে রস্টন চেজের শিকারে পরিণত হন দলীয় ৭০ রানে। এরপর দ্রুতই তানজিম সাকিব ও রিচার্ড এনগারাবাকে তুলে নেন খুশদিল শাহ ও তানভীর ইসলাম। এতে করে ৭৮ রানে থাকে সিলেটের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে আলিস ৪টি, চেজ ২টি, ফর্ড, তানভীর ও খুশদিল একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। আরো একবার ব্যর্থ হন অধিনায়ক লিটন দাস। দলীয় ৮ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর দলীয় ৫৫ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নিলে চাপে পড়ে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে ইমরুলকে নিয়ে বড় রানের ভীত গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাওহীদ হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়েন তিনি।
ইমরুল কায়েস বিদায় নেন ৩০ রান করে। আগের ম্যাচগুলোতে কিছু করে দেখাতে না পারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজও আউট হয়ে যান দ্রুত। তিনি করেন মাত্র ২ রান। দলীয় ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। শেষ দিকে খুশদিল শাহের ২১ এবং জাকের আলি অনিকের ২৯ রানে ভর করে ১৩০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার সামিত প্যাটেল ৩টি, জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড নাগারাভা ২টি উইকেট নেন। এদিন মাশরাফি নিজের ৪ ওভারের কোটা পূরণ করলেও উইকেটের দেখা পাননি।