গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২৪৮৭ জন
- আপডেট সময় : ১০:২৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৩০ বার পড়া হয়েছে
দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঘটনা বেড়ে চলেছে। ২০২৩ সালে সারা দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৩২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুই হাজার ৪৮৭ জন এবং আহত হয়েছে এক হাজার ৯৪৩ জন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৯০৯ জন, অর্থাৎ ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশেরই বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালে ১ হাজার ১৮৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিল ৯৪৫ জন। ২০২০ সালে ১ হাজার ৩৮১ দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৬৩ জন নিহত হয়েছিল। ২০২১ সালে ২ হাজার ৭৮টি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ২১৪ জন এবং ২০২২ সালে ২ হাজার ৯৭৩টি দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৯১ জন নিহত হয়েছিল। সেই হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও মৃত্যু দুটোই কমেছে।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মধ্যে অন্যান্য যানবাহনের নিচে চাপা পড়ে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, সারা দেশে মোটরসাইকেলে ভারী যানবাহনের চাপা ও ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ২৫টি, যা মোট দুর্ঘটনার ৪০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ ছাড়া অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৫৭২টি, যা মোট মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর বাইরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯০৪টি, যা দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ বা ৯১৭টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলচালকই এককভাবে দায়ী ছিলেন।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাসচালক দায়ী ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ; ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রাক্টর, ট্রলি, লরিচালক দায়ী ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের চালক দায়ী ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। থ্রি-হুইলার বা ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশা, অটো ভ্যান, মিশুক, টেম্পো, লেগুনার চালকদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৮টি; বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, রিকশাভ্যানের চালক দায়ী দশমিক ৫১ শতাংশ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া পথচারী দায়ী ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য কারণে হয়েছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ দুর্ঘটনা।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার মধ্যে ২৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৪১ দশমিক ৫৮ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে, ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ ঘটেছে গ্রামীণ সড়কে এবং ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে শহরের সড়কে।