নেতানিয়াহুর অপসারণ চেয়ে ৪৩ বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠি
- আপডেট সময় : ০৬:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলের ৪০ জনেরও বেশি সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা, খ্যাতিমান বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা দাবি করেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তারা ‘অস্তিত্বের’ হুমকি মনে করছেন। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে দেয়া এক চিঠিতে এই কথা জানিয়ে তার অপসারণ চেয়েছে ওই বিশিষ্ট নাগরিকেরা।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবার চারজন সাবেক পরিচালক, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুইজন সাবেক প্রধান এবং তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন। চিঠিটি নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলের উগ্র–ডানপন্থী সরকারের জোটকে বিব্রত করেছে। নেতানিয়াহুর ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমিয়ে সংশোধনী আনার বিতর্কিত প্রচেষ্টা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করেছে এবং এর ফলেই ৭ অক্টোবরের হামলা হয়েছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে নেতানিয়াহু এমন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য প্রাথমিক দায় বহন করেন। যার ফলে এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি এবং অন্যান্যদের নৃশংস গণহত্যা, সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আহত এবং ২৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। যাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশি এখনও হামাসের বন্দিদশায় বন্দী। এসব হতাহতের রক্ত নেতানিয়াহুর হাতে লেগে আছে।’
চিঠিটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দেশটির আইনসভা নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাকে পাঠানো হয়। মাত্র এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ষষ্ঠ মেয়াদ কাজ শুরু করার পর থেকে নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা আশ্চর্যজনকভাবে কমে গেছে। সমালোচকেরা তার বিচার বিভাগের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করেছেন। ওই সংস্কার চেষ্টা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করেছে এবং বিগত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেশকে বিভক্ত করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইরান, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের নেতারা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের বর্তমান অস্থিতিশীল অবস্থা দেখে খুশি এবং এর প্রশংসা করেছে। তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিনষ্ট ও আমাদের ক্ষতি করার সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
এদিকে গেল সপ্তাহে প্রকাশিত ইসরায়েলের চ্যানেল–১৩–এর একটি জরিপ বলছে, আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির বড় পরাজয় হবে। জরিপে সবচেয়ে এগিয়ে সাবেক আইডিএফ চিফ অব স্টাফ ও বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য পার্টি। দেশটিতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের আগে হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা নেই। যদিও আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসরায়েলে বিক্ষোভ চলছে এবং দেশটির অন্যতম প্রধান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ একই আহ্বান জানিয়েছেন।