ধর্ষণের অভিযোগে ৮৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানা ট্রাম্পকে
- আপডেট সময় : ০৬:১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতের নয় সদস্যের প্যানেল ট্রাম্পকে এই নির্দেশ দেন। ট্রাম্পকে ভুক্তভোগী নারী এলিজাবেথ জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দিতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনে ছিলেন ট্রাম্প। তবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। তবে নিজের দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে হাজির ছিলেন ক্যারল।
রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ৭৯ বছর ছুঁইছুঁই ক্যারল বলেন, ‘পৃথিবীতে যেসব নারী আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়ায়, এই রায় তাদের সবার জন্য; আর যেসব উৎপীড়ক প্রতিনিয়ত নারীকে অত্যাচার করে, মিশিয়ে ফেলতে চায়, এই রায় তাদের জন্যও।’
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, আদালত জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলিজাবেথ জেন ক্যারল শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬৫ মিলিয়ন ডলার আর সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ায় ১১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন। এছাড়া মানসিক ক্ষতিসাধনের জন্য ক্যারলকে ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে ট্রাম্পকে।
মূলত এলিজাবেথ জেন ক্যারল সাবেক সাংবাদিক ও কলাম লেখক। তার বয়স ৮০ বছর। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তিনি ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে মামলা করেন। ওই সময় আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ক্যারল বলেছিলেন, তিনি তার জীবন ফিরে চান। বছরের পর বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি একজন বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন। পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাকে উপহার পছন্দ করে দিতে সহায়তা করছিলেন। এর পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেন ক্যারল। তবে ক্যারলের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। তার দাবি, নিজের প্রচারণার জন্য এমন ‘কল্পকাহিনি’ বলছেন ক্যারল।