ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কালিকাপুর রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন– আছমত আলীর ছেলে রফিজ, আব্দুল মালেকের স্ত্রী লুৎফা, তৈয়ব আলীর ছেলে সাজু, আলী আশরাফের স্ত্রী সফরজান ও মনিরের স্ত্রী শানু। তাঁরা সবাই বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। আমাদের সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।’

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বুচিডং বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইন থু খা বলেন, ‘আমরা কালাদান নদীর তীরবর্তী বন্দরনগর পালেতওয়া দখলে নিয়েছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গতকাল শুক্রবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দনগরী পাকতাও দখল করে নিয়েছে।

এর পর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (আরআরআরসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প ও ভাসানচর মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে ক্ষমতাসীন জান্তার সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে আজ শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাবেক ব্রিটিশ এমপিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। আমাদের সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।’

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বুচিডং বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের পালেতওয়া শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খাইন থু খা বলেন, ‘আমরা কালাদান নদীর তীরবর্তী বন্দরনগর পালেতওয়া দখলে নিয়েছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর (বাংলাদেশ ও ভারত) সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

গতকাল শুক্রবার আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাখাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দনগরী পাকতাও দখল করে নিয়েছে।

এর পর থেকেই মূলত সেনাবাহিনী ও আরাকার আর্মির সঙ্গে তুমুল লড়াই শুরু হয়। আরাকান আর্মি এখন পুরো রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (আরআরআরসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প ও ভাসানচর মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।