০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৪০ ভাগ

দেশে সরাসরি বিদেশ বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের পরিমাণ কমছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা এবং জ্বালানি সংকট বিদেশি বিনিয়োগের পথে বড় বাধা। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের এ সময়ে দেশে এফডিআই কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

গত দুই বছরের টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এসময় রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের চেয়ে আমদানি বিল বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। পাশাপাশি দেশের আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ এফডিআই বা নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ৬৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ১১০ কোটি ডলার। এছাড়া ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে নিট এফডিআই কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ডলার ও গ্যাসের তীব্র সংকটের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিদেশি বিনিয়োগে। অন্যদিকে, নানা অবকাঠামোগত সমস্যায় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

ডিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘আপনি কি ইমপোর্ট করতে পারছেন, কি পারছেন না। এটা একটা কমন ফ্যাক্টর। এটা বোথ ইমপরটেন্ট ফর লোকাল অ্যান্ড ফরেইন ইনভেস্টর। সেকেন্ড হচ্ছে আপনার, এনার্জি সাপ্লাই অ্যান্ড সিকিউরিটি। ট্যাক্সরেট বেশি থাকলে কিন্তু সেটা আসলে ওয়ার্ক সাইডের ডিটরেন্স। আমাদের দিক থেকে ট্যাক্সরেট কমানোটা খুবই জাস্টিফায়েড এবং জরুরী একটা কাজ।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে বিনিময় হারের ওঠানামার অনিশ্চয়তা নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করেছে। ফলে, বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাদের মতে, অর্থনীতির এই সংকটকালে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া উদ্বেগজনক।

অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘এটা বেশ কয়েকটা দিক থেকে থ্রেড। ফরেইন কারেন্সি যে তিনটি বা চারটি সোর্স থেকে আসে তার মধ্যে এফডিআই হলো অন্যতম। এক্সপোর্টকে যদি আমরা ১০০ বিলিয়ন বা ২০৩০ এর মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন পার করতে চাই আমাকে ডাইভারসিফিকেশনে যেতে হবে। সেই ডাইভারসিফিকেশন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া অসম্ভব।’

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কার্যকর ওয়ান-স্টপ সেবা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।

দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৪০ ভাগ

আপডেট : ০৪:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, রোববার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

দেশে সরাসরি বিদেশ বিনিয়োগ বা এফডিআইয়ের পরিমাণ কমছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিময় হারের অস্থিতিশীলতা এবং জ্বালানি সংকট বিদেশি বিনিয়োগের পথে বড় বাধা। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের এ সময়ে দেশে এফডিআই কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

গত দুই বছরের টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এসময় রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের চেয়ে আমদানি বিল বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। পাশাপাশি দেশের আর্থিক হিসাবের ঘাটতিও বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ এফডিআই বা নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ৬৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ১১০ কোটি ডলার। এছাড়া ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে নিট এফডিআই কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ডলার ও গ্যাসের তীব্র সংকটের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিদেশি বিনিয়োগে। অন্যদিকে, নানা অবকাঠামোগত সমস্যায় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে না বলে মনে করেন তারা।

ডিসিআইয়ের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘আপনি কি ইমপোর্ট করতে পারছেন, কি পারছেন না। এটা একটা কমন ফ্যাক্টর। এটা বোথ ইমপরটেন্ট ফর লোকাল অ্যান্ড ফরেইন ইনভেস্টর। সেকেন্ড হচ্ছে আপনার, এনার্জি সাপ্লাই অ্যান্ড সিকিউরিটি। ট্যাক্সরেট বেশি থাকলে কিন্তু সেটা আসলে ওয়ার্ক সাইডের ডিটরেন্স। আমাদের দিক থেকে ট্যাক্সরেট কমানোটা খুবই জাস্টিফায়েড এবং জরুরী একটা কাজ।’

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে বিনিময় হারের ওঠানামার অনিশ্চয়তা নতুন করে ঝুঁকি তৈরি করেছে। ফলে, বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাদের মতে, অর্থনীতির এই সংকটকালে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়া উদ্বেগজনক।

অর্থনীতিবিদ মাশরুর রিয়াজ বলেন, ‘এটা বেশ কয়েকটা দিক থেকে থ্রেড। ফরেইন কারেন্সি যে তিনটি বা চারটি সোর্স থেকে আসে তার মধ্যে এফডিআই হলো অন্যতম। এক্সপোর্টকে যদি আমরা ১০০ বিলিয়ন বা ২০৩০ এর মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন পার করতে চাই আমাকে ডাইভারসিফিকেশনে যেতে হবে। সেই ডাইভারসিফিকেশন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া অসম্ভব।’

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কার্যকর ওয়ান-স্টপ সেবা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।