স্বতন্ত্র এমপিদের বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে ও সংবিধান আত্মস্থ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান। দুর্নীতি ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে স্বতন্ত্র এমপিদের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে স্বতন্ত্র এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকেন, তাঁদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়ার অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। যেসব প্রকল্প মানুষের জন্য অর্থবহ হবে, সে সব প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান।
মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের আগে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যকে। যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন।
বৈঠকের শুরুতে স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংসদ ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ পার্লামেন্ট। সংসদ প্রাকটিস ভালো করে জানতে হবে।’
গত ৭ জানুয়ারি বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না আসায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী আবহ সৃষ্টি করতে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে নামেন বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা। ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পায়। আওয়ামী লীগ জয় পায় ২২৩টি আসনে। আওয়ামী লীগের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- পায় একটি করে আসন। আওয়ামী লীগের সমর্থনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি জিতে একটি।
অন্যদিকে, গত দুটি সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়ে ২৬টি আসনে নৌকার প্রার্থী তুলে নেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লাঙ্গলের প্রার্থীকে হারিয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। রেকর্ডসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ে সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টির আসন নেমে হয় ১১টিতে।
এবারের সংসদে ১১টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। আর বিরোধী দলের উপনেতা মনোনিত করা হয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে।