মালদ্বীপের ভারতবিরোধী ও চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)।
মালদ্বীপের সমুদ্রসীমায় চীনের গোয়েন্দা জাহাজকে নোঙর করার অনুমতি দেয় মুইজ্জুর সরকার। এরপর থেকে মুইজ্জুর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে শুরু করে বিরোধী দলগুলো।
এর আগের রবিবার অভিশংসনপ্রক্রিয়া শুরুর পর দেশটির পার্লামেন্টে ব্যাপক হট্টগোল বেধে যায়। মুইজ্জু সরকারের অভিশংসন নিয়ে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে সরকারি সংসদ সদস্যরা বাধা দেন। এতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
মুইজ্জুর সমালোচনাকারী দুই বিরোধী দলের একটি ‘মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি), অন্যটি ‘দ্য ডেমোক্র্যাট’। ৮০ সদস্য বিশিষ্ট (আগে মোট আসন ছিল ৮৭) মালদ্বীপের পার্লামেন্ট বা আইনসভায়, যাকে সে দেশে ‘মজলিশ’ বলা হয়- দুই দলের সদস্য সংখ্যা ৫৫।
রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ‘পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস’ (পিএনসি) দলের মোহাম্মদ মুইজ্জু। এই পদে তিনি নির্বাচনে লড়েন প্রবল ভারত বিরোধীতাকে হাতিয়ার করে। জয়ী হয়েই তিনি ভারতবিরোধী ভূমিকায় নামেন। তা করতে গিয়ে খোলাখুলিভাবে চীনপন্থী হিসেবেও পরিচিতি পান।
এদিকে ভারতের বিরোধিতা করে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। দেশের দুই প্রধান বিরোধী দল তাঁকে সাবধান করে বলেছে, অত্যাধিক ভারতবিরোধিতা দেশকে গুরুতর বিপদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে।
মুইজ্জু ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথমেই জানিয়ে দেন, মালদ্বীপে অবস্থানকারী ৮৮ ভারতীয় সেনাকে দেশে ফিরে যেতে হবে। সেজন্য তাঁর সরকার ১৫ মার্চ সময়সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছে।