০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখল

সোমবার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের থিনগান নাইনাং শহরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর এই হেলিকপ্টাটিকে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে বিদ্রোহীরা। এতে হেলিকপ্টারে থাকা এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও নিরাপত্তা বাহিনীর অন্য চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এদিকে পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে চলতি মাসে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর তিনটি বিমান বিধ্বস্ত করলো দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা।

ইরাবতি বলছে, জান্তা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি সোমবার বিকেলে মিয়াওয়াদ্দি শহরের সীমান্ত লাগোয়া থিঙ্গান নাইনাংয়ে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের সহযোগী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের যোদ্ধাদের হামলার মুখে পড়ে। কারেন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সশস্ত্র শাখা হলো কেএনএলএ।

হামলায় জড়িত কেএনএলএর মিত্র প্রতিরোধ শক্তি কোবরা কলামের একটি সূত্র বলেছে, ‘‘আমরা মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র থেকে জান্তার হেলিকপ্টারে গুলি ছুড়েছি। গুলিতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে মিয়ানমার জান্তার একটি পদাতিক ডিভিশনের প্রধান, হেলিকপ্টারের পাইলট এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অন্য সদস্যরা নিহত হয়েছেন।’’

কারেন রাজ্যের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি থিনগান নাইনাংয়ে জান্তার হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে বলে কেএনইউয়ের মুখপাত্র পাদোহ সাউ কালে নিশ্চিত করেছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৪৪তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের (এলআইডি) নতুন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউংকে মিয়াওয়াদ্দির থিনগান নাইনাংয়ে এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় কোবরা কলাম হেলিকপ্টারটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ৪৪তম ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউং এবং অন্য চার সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাবতি বলছে, রাখাইনের ম্রাউক ইউ, কিয়াকতাও ও রাথেডং এলাকায় জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সদস্যদের লড়াই চলছে।

এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, ‘‘জান্তা সৈন্যরা আর আমাদের সাথে লড়াই করতে পারছেন না। তারা এখন আরও বেশি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা করছেন।’’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ম্রাউক ইউ শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৭৭ ও ৫৪০ ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের ৩১ ব্যাটালিয়ন থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ম্রাউক ইউ শহরের চারজন বাসিন্দা নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, রামরি শহরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জান্তা সৈন্যরা গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছেন। তবে শহরটিতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: শ্রম সচিব

মিয়ানমারে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখল

আপডেট : ০৫:১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

সোমবার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের থিনগান নাইনাং শহরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর এই হেলিকপ্টাটিকে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে বিদ্রোহীরা। এতে হেলিকপ্টারে থাকা এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও নিরাপত্তা বাহিনীর অন্য চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এদিকে পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ নিয়ে চলতি মাসে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর তিনটি বিমান বিধ্বস্ত করলো দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা।

ইরাবতি বলছে, জান্তা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি সোমবার বিকেলে মিয়াওয়াদ্দি শহরের সীমান্ত লাগোয়া থিঙ্গান নাইনাংয়ে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের সহযোগী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের যোদ্ধাদের হামলার মুখে পড়ে। কারেন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সশস্ত্র শাখা হলো কেএনএলএ।

হামলায় জড়িত কেএনএলএর মিত্র প্রতিরোধ শক্তি কোবরা কলামের একটি সূত্র বলেছে, ‘‘আমরা মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল এবং অন্যান্য অস্ত্র থেকে জান্তার হেলিকপ্টারে গুলি ছুড়েছি। গুলিতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে মিয়ানমার জান্তার একটি পদাতিক ডিভিশনের প্রধান, হেলিকপ্টারের পাইলট এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অন্য সদস্যরা নিহত হয়েছেন।’’

কারেন রাজ্যের জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি থিনগান নাইনাংয়ে জান্তার হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে বলে কেএনইউয়ের মুখপাত্র পাদোহ সাউ কালে নিশ্চিত করেছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৪৪তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের (এলআইডি) নতুন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউংকে মিয়াওয়াদ্দির থিনগান নাইনাংয়ে এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় কোবরা কলাম হেলিকপ্টারটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ৪৪তম ডিভিশনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আয়ে মিন নাউং এবং অন্য চার সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

এদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। রোববার রাখাইনের মিনবিয়া শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আরাকান আর্মি।

থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের ইংরেজি দৈনিক ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইরাবতি বলছে, রাখাইনের ম্রাউক ইউ, কিয়াকতাও ও রাথেডং এলাকায় জান্তা বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির সদস্যদের লড়াই চলছে।

এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, ‘‘জান্তা সৈন্যরা আর আমাদের সাথে লড়াই করতে পারছেন না। তারা এখন আরও বেশি গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা করছেন।’’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ম্রাউক ইউ শহরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩৭৭ ও ৫৪০ ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের ৩১ ব্যাটালিয়ন থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। আরাকান আর্মি বলেছে, শনিবার জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ম্রাউক ইউ শহরের চারজন বাসিন্দা নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, রামরি শহরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জান্তা সৈন্যরা গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছেন। তবে শহরটিতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।