প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার পর্যবেক্ষণ করতে চান ১২৫ নোবেল বিজয়ীসহ ২৪২ বিশ্বব্যক্তিত্ব। এজন্য তাঁরা একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবীর নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়ে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে ইউনূসের সাজা ও বিচারকে প্রহসনমূলক বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন ২৪২ বিশ্বব্যক্তিত্ব।
চিঠিটি গত ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসের সাজা ঘোষিত শ্রম আইনের মামলাটিসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে চলমান অর্থ আত্মসাতের তদন্তও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এজন্য স্বাধীন আইনি বিশেষজ্ঞদের একটি ছোট দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক আইনজীবী পাঠাতে চান তাঁরা।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান তাঁদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ড. ইউনূসের স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া যে কেউ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। তবে তাদের মনে রাখতে হবে এখানে কোনো নোবেলজয়ীর বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ব্যক্তি ড. ইউনূসের বিচার করা হচ্ছে।
দুদকের আইনজীবী বলেন, যে কোনো ব্যক্তি আদালতে বসে বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে বাংলাদেশের বার কাউন্সিলের অনুমোদন লাগবে।
কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নোবেলজয়ীরা এই চিঠি দিয়েছেন কি না—জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী বলেন, এটা তো বোঝায় যায় যে, তারা একটি ব্যক্তিকে হাইলাইট করে এই কাজ করছে। তারা ব্যক্তিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। দেশ ও আইনকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছে না।
খুরশিদ আলম বলেন, না জেনে–বুঝে নোবেলজয়ীদের এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক না। বিচার ব্যবস্থা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ীই চলবে। এখানে কেউ কোনো পথরোধ করতে পারবে না।