পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার দলের নেতা শাহ মাহমুদ কুরেরিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সাইপার মামলায় তাদের এ কারাদণ্ড দেয়া হয়। খবর জিও নিউজ
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের এই দুই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আবুল হাসনাত গত বছর থেকেই এ মামলার শুনানি করছেন।
আগামী ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এমন রায় দেওয়া হলো। যদিও বিভিন্ন বাধা এবং প্রতীক না পাওয়া উপেক্ষা করে ইমরান খানের দল জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের আগস্টে ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে সাইফার মামলা করা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খান ও কুরেশিকে গ্রেপ্তার পরবর্তী জামিন দেয়। যদিও সে সময় ইমরান খানকে অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত করে বন্দি রাখা হয়। অন্যদিক মুক্তির প্রত্যাশায় থাকা কুরেসিকে ৯ মে’র একটি নতুন মামলায় আবার গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কয়েকদিন পরে বিচারক মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব বিশেষ আদালতের মাধ্যমে এ মামলায় আইনি ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে শুনানি ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর ইমরান ও কুরেশিকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযুক্ত করা হয়। এরপর অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গত মাসে আদিয়ালা কারাগারে নতুন করে মামলার কার্যক্রম শুরু করেন বিশেষ আদালত।
২০২২ সালের এপ্রিলে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। এরপর তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়। সেনা সদর দপ্তরে হামলাসহ ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় মঙ্গলবার নতুন করে তাকে কমপক্ষে ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।