১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলছে বইমেলার শেষ মুহূর্তের কাজ

এবার অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট, অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বাংলা একাডেমির পক্ষ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শেষ মুহূর্তে বইমেলার স্টলগুলোতে বেড়েছে কাজের চাপ। এখনো অবকাঠামোগত অনেক কাজ বাকি বেশিরভাগ স্টলে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

প্রকাশকেরা বলছেন, স্টল তৈরির জন্য এক সপ্তাহ সময় পর্যাপ্ত নয়। বাংলা একাডেমি বলছে, এর জন্য প্রথম দু-একদিন সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেল সুবিধা বইমেলায় যাতায়াতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিনে দেখা যায়, বইমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। কাঠের সঙ্গে কাঠ জুড়ে তৈরি হচ্ছে অবকাঠামো। কারও ব্যস্ততা রং তুলি হাতে। নিজের স্টলকে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিবারের মতো এবারও থিমে ভিন্নতা আনতে ব্যস্ত প্রকাশকেরা। এমন চিত্রই জানান দিচ্ছে বইমেলার দেরি নেই।

বইমেলার প্রস্তুতি দেখতে আসা লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, ‘বাঁশ ও কাঠের কাঁচা গন্ধ পাচ্ছি। এই গন্ধ ও ঠুকঠাক শব্দের মধ্যে আমি দেখতে এলাম মেলার প্রস্তুতি কেমন চলছে। বইমেলা একটা প্রাণের মেলা। আমাদের মধ্যে যারা লেখক, সাহিত্যিক আছি তাদের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করছে।’

নবান্ন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, ‘গত বছর স্টল সাজানো হয়েছিল রিকশাচিত্র দিয়ে। এবার জুম চাষের চিত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে। জুমের সময় যেমন মাচাং তৈরি করা হয়, এবার মাচাং ঘর হলো মূল থিম।’

মেলার স্টল বরাদ্দ হয়েছে গত মঙ্গলবার। অনেক স্টলের অবকাঠামোর কাজ বাকি। প্রকাশকদের অভিযোগ, এত অল্প সময়ে তাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এত কম সময় দেয় যে, স্টল বানানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। তীব্র শীতের রাতে যারা কাজ করে তাদের কষ্ট হয়ে যায়।’

এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেলা শুরুর দু-একদিনের মধ্যেই শেষ হবে শতভাগ কাজ। বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সময়টা একটু কম হওয়ার কারণে কাজ শেষ হতে সময় লাগছে। তবে যেভাবে কাজ চলছে তাতে আমি নিশ্চিত যে, হয়ত একটি বা দুটি দিন পরই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সম্প্রতি মেলার গেট সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন চালু হওয়ায় এবার মেলায় আসা পাঠকদের যাতায়াতে সুবিধা হবে বলছে বাংলা একাডেমি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

চলছে বইমেলার শেষ মুহূর্তের কাজ

আপডেট : ০৮:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

এবার অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট, অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বাংলা একাডেমির পক্ষ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।

আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। শেষ মুহূর্তে বইমেলার স্টলগুলোতে বেড়েছে কাজের চাপ। এখনো অবকাঠামোগত অনেক কাজ বাকি বেশিরভাগ স্টলে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

প্রকাশকেরা বলছেন, স্টল তৈরির জন্য এক সপ্তাহ সময় পর্যাপ্ত নয়। বাংলা একাডেমি বলছে, এর জন্য প্রথম দু-একদিন সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেট্রোরেল সুবিধা বইমেলায় যাতায়াতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরেজমিনে দেখা যায়, বইমেলার শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই। কাঠের সঙ্গে কাঠ জুড়ে তৈরি হচ্ছে অবকাঠামো। কারও ব্যস্ততা রং তুলি হাতে। নিজের স্টলকে পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিবারের মতো এবারও থিমে ভিন্নতা আনতে ব্যস্ত প্রকাশকেরা। এমন চিত্রই জানান দিচ্ছে বইমেলার দেরি নেই।

বইমেলার প্রস্তুতি দেখতে আসা লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বায়তুল্লাহ কাদেরী বলেন, ‘বাঁশ ও কাঠের কাঁচা গন্ধ পাচ্ছি। এই গন্ধ ও ঠুকঠাক শব্দের মধ্যে আমি দেখতে এলাম মেলার প্রস্তুতি কেমন চলছে। বইমেলা একটা প্রাণের মেলা। আমাদের মধ্যে যারা লেখক, সাহিত্যিক আছি তাদের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করছে।’

নবান্ন প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, ‘গত বছর স্টল সাজানো হয়েছিল রিকশাচিত্র দিয়ে। এবার জুম চাষের চিত্র দিয়ে সাজানো হচ্ছে। জুমের সময় যেমন মাচাং তৈরি করা হয়, এবার মাচাং ঘর হলো মূল থিম।’

মেলার স্টল বরাদ্দ হয়েছে গত মঙ্গলবার। অনেক স্টলের অবকাঠামোর কাজ বাকি। প্রকাশকদের অভিযোগ, এত অল্প সময়ে তাদের কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এত কম সময় দেয় যে, স্টল বানানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। তীব্র শীতের রাতে যারা কাজ করে তাদের কষ্ট হয়ে যায়।’

এদিকে মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেলা শুরুর দু-একদিনের মধ্যেই শেষ হবে শতভাগ কাজ। বাংলা একাডেমির পরিচালক ও অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সময়টা একটু কম হওয়ার কারণে কাজ শেষ হতে সময় লাগছে। তবে যেভাবে কাজ চলছে তাতে আমি নিশ্চিত যে, হয়ত একটি বা দুটি দিন পরই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

সম্প্রতি মেলার গেট সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোরেল স্টেশন চালু হওয়ায় এবার মেলায় আসা পাঠকদের যাতায়াতে সুবিধা হবে বলছে বাংলা একাডেমি।