ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমারে একের পর এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত কয়েকদিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত মিয়ানমার। দেশটি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াই। এর মধ্যে বিদ্রোহীদের সফলতাই বেশি। জান্তা বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে তারা। সামরিক বাহিনী তা প্রতিরোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এর মধ্যে গত সপ্তাহে বিদ্রোহীদের দখলে নেয়া উত্তর শান রাজ্যের মোমেক শহর ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপরই বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে তারা। আটজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। সংঘাত থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।

মোমেকের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘জান্তা সৈন্যরা এখন শহরে অবস্থান করছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা আড়ালে থাকা বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করেছে। রোববার নিজেদের বাড়িঘর দেখতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন বাসিন্দা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গৃহপালিত প্রাণীকে যারা খাবার দেওয়ার জন্য গ্রামে গিয়েছিল তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে’

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ওএইচসিএইচআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির লড়াইয়ে অন্তত ১২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। মঙ্গলবার দেয়া এক প্রতিবেদনে শুক্রবার রাজ্যের হপোন নিও লেইক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতে গণহত্যা থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারে একের পর এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

গত কয়েকদিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত মিয়ানমার। দেশটি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহীদের লড়াই। এর মধ্যে বিদ্রোহীদের সফলতাই বেশি। জান্তা বাহিনীকে পরাজিত করে একের পর এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে তারা। সামরিক বাহিনী তা প্রতিরোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এর মধ্যে গত সপ্তাহে বিদ্রোহীদের দখলে নেয়া উত্তর শান রাজ্যের মোমেক শহর ফের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপরই বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে তারা। আটজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। সংঘাত থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছেন শত শত মানুষ।

মোমেকের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘জান্তা সৈন্যরা এখন শহরে অবস্থান করছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা আড়ালে থাকা বাসিন্দাদের গ্রেপ্তার করেছে। রোববার নিজেদের বাড়িঘর দেখতে গিয়ে অন্তত পাঁচজন বাসিন্দা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গৃহপালিত প্রাণীকে যারা খাবার দেওয়ার জন্য গ্রামে গিয়েছিল তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে’

এদিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ওএইচসিএইচআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির লড়াইয়ে অন্তত ১২ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওএইচসিএইচআর। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। মঙ্গলবার দেয়া এক প্রতিবেদনে শুক্রবার রাজ্যের হপোন নিও লেইক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতে গণহত্যা থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক।